মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

তাঁর মতো এভাবে যদি আরো অনেকে এগিয়ে আসতেন-
অনলাইন ডেস্ক

গত ৬ অক্টোবর ২০২১ বুধবার চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন চতুরঙ্গের ১৩তম ইলিশ উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে বলেছেন, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের কারণে নদীতে মাছ ধরায় বিরত জেলেদেরকে আমি খাদ্য সহায়তা প্রদান করবো। অনেকে তাঁর এমন বক্তব্যে কিছুটা বিস্মিত হয়েছেন এজন্যে যে, পদ্মা-মেঘনার জেলেরা যে সকল উপজেলায় বসবাস করে, তাঁর গ্রামের বাড়ি সেখানে নয়। তাহলে তিনি কোন্ স্বার্থে খাদ্য সহায়তা প্রদান করবেন ? তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতার করতালি পেতে হয়তো এ কাজটি করেছেন।

প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন তাঁর এমন বক্তব্যের ৯দিনের মাথায় ১৫ অক্টোবর শুক্রবার মেঘনা তীরবর্তী হাইমচর উপজেলায় এসে উপস্থিত হলেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় হাইমচরের ২নং উত্তর আলগী ইউনিয়নের বাজাপ্তি রমণী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে প্রায় ২০০ গরীব, দুঃস্থ জেলে পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। তাঁর এ খাদ্য সহায়তা ৫০ সহস্রাধিক নিবন্ধিত জেলের মধ্যে মাত্র ২০০ জনের জন্যে হওয়ায় এটাকে স্থূল দৃষ্টিতে কেউ কেউ যৎসামান্য বলতে পারেন, কিন্তু সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে এটা প্রতীকী এবং দৃষ্টান্তমূলক।

মার্চ-এপ্রিল দু মাস জাটকা ইলিশ রক্ষায় পদ্মা-মেঘনায় অভয়াশ্রম চলাকালে জেলেরা বেকার হয়ে পড়ে। এ সময় খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রতি জেলে সরকারের পক্ষ থেকে ৪০ কেজি করে ৮০ কেজি চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু নিবন্ধিত সকল জেলে সেটা পায় না। অজ্ঞাত কারণে কয়েক হাজার জেলে এই খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়। অক্টোবর মাসে ২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চলাকালেও একই ধরনের বঞ্চনা লক্ষ্য করা যায়। ২২ দিনের জন্যে ৪০ কেজি চাল প্রাপ্তির যৌক্তিকতা থাকলেও সরকার দেয় মাত্র ২০ কেজি চাল, তাও আবার নিবন্ধিত ৫০ সহস্রাধিক জেলের মধ্যে সকলকে নয়। এবার ৪৪ হাজার জেলে পেয়েছে এই চাল।

একে তো অপর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা, তারপর আবার সকল জেলে পাবে না। নিঃসন্দেহে এটা সঠিক কাজ নয়। এমতাবস্থায় বঞ্চিত জেলেরা বেপরোয়া হয়ে অভয়াশ্রম ও মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চলাকালে নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মাছ ধরতে যাবে-এটা দেখতে পাওয়াটাই স্বাভাবিক। এমন বাস্তবতায় সরকারি খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইনের মতো রাজনৈতিক অরাজনৈতিক চিত্তবান বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি জেলেদের পাশে অনুরূপ সহায়তা নিয়ে দাঁড়ায়, মোটিভেশনাল কাজ করে, তাহলে সামগ্রিকভাবে ইলিশ রক্ষা অভিযান সাফল্যে পর্যবসিত হতে পারে বলে আমরা মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়