প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

সাংবাদিকতা মহান পেশা, যেটি জনকল্যাণে নিবেদিত। আর সাংবাদিকদের সংগঠন সাংবাদিকদের বহুমুখী কল্যাণ ও সাংবাদিকতার উন্নয়নে প্রধানত কাজ করে। তবে এমন সংগঠন সমাজসেবামূলক সংগঠন নয়। তারপরও কোনো সাংবাদিক সংগঠন যখন সেবামূলক কাজ করে, তখন সেটাকে তাদের বদান্যতাই বলতে হয়। এমন বদান্যতাই প্রদর্শন করেছে শাহরাস্তি প্রেসক্লাব। এ ব্যাপারে গত শনিবার চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে একটি সংবাদ।
‘এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে শাহরাস্তি প্রেসক্লাব’ শিরোনামের সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে পাশে দাঁড়িয়েছে শাহরাস্তি প্রেসক্লাব। শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল ও সাধারণ সম্পাদক স্বপন কর্মকার মিঠুনের নেতৃত্বে গত ক’দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের বেশ ক’জন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণে আর্থিক সহায়তা দিতে বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে ছুটে যান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। আগামীর দক্ষ ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলার প্রত্যয়ে প্রেসক্লাব গৃহীত বিভিন্ন সমাজহিতৈষী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপজেলার শাহরাস্তি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, পঞ্চগ্রাম আজিজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় ও চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের বেশ ক'জন মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে আর্থিক সহায়তা করা হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি-সম্পাদকের সাথে ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি সজল পাল, যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান সেন্টু, অর্থ সম্পাদক মোঃ জামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন, কার্যকরী সদস্য ফয়েজ আহমেদ, সদস্য মোঃ হাসানুজ্জামান, মোঃ আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল জানান, প্রতি বছর আর্থিক দৈন্যতার কারণে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়ে। তাদের শিক্ষার পথ সুগম করতে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে আগামীতে এ উপজেলায় সকলের অংশগ্রহণ ও সহায়তায় ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সভাপতি তাঁর উপজেলায় ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, সেটা আবেগতাড়িত হয়ে, না বাস্তবতার নিরিখে গ্রহণ করেছেন, সেটা আমাদের জানা নেই। তবে এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন যে অনেক কষ্টকর সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদি উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা পান এবং নিজেরা দৃঢ়চিত্ত হন, তাহলে কষ্টকর কাজটি সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করি। যদি এই মহৎ কাজে তারা সত্যিকার অর্থেই একদিন পুরোপুরি সফল হন, তখন সেটি হবে বাংলাদেশের কোনো সাংবাদিক সংগঠনের জন্যে বিরল অর্জন এবং অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত।