রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

আবাসিক এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতাল নির্মাণ বন্ধে ব্যবস্থা নয় কেন?

আবাসিক এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতাল নির্মাণ বন্ধে ব্যবস্থা নয় কেন?
অনলাইন ডেস্ক

'চাঁদপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন গ্রামীণ টাওয়ার ও আবাসিক এলাকায় নির্মাণ হচ্ছে প্রাইভেট হাসপাতাল'। এটি রোববার চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংবাদ শিরোনাম। সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, চাঁদপুর শহরের স্টেডিয়াম রোডে আবাসিক এলাকায় গ্রামীণ টাওয়ারের নিচে নির্মিত হচ্ছে প্রাইভেট হাসপাতাল। আবাসিক এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণ করার নিয়ম না থাকলেও তা নিয়মে পরিণত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে জানা যায়। একটি সূত্র জানায়, আবাসিক এলাকায় ও বাসা-বাড়িতে হাসপাতাল করার কোনো নিয়ম নেই। তারপরও কীভাবে চাঁদপুর শহরে বাসা-বাড়িতে গড়ে উঠেছে প্রাইভেট হাসপাতাল? এসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নি। মনে হচ্ছে, কর্তৃপক্ষের সাথে আঁতাত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। না হলে কর্তৃপক্ষ কেনইবা এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। চাঁদপুর শহরের আউটার স্টেডিয়ামে অবস্থিত গ্রামীণ টাওয়ারের নিচে আবাসিক এলাকায় ল্যাব ওয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্ণধার মোঃ নাজমুল হোসেন নতুন করে হাসপাতাল ভবনের কাজ করে চলছেন। এই হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেনেও ব্যবস্থা নেয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন বলেন, আবাসিক এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণ করার নিয়ম নেই। তারপরও চাঁদপুর শহরে দিন দিন নতুন করে হাসপাতাল গড়ে উঠছে। আউটার স্টেডিয়াম এলাকায় গ্রামীণ টাওয়ারের নিচে নতুন করে নির্মিত হতে যাচ্ছে হাসপাতাল, যা অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে করা হচ্ছে। জেলা স্বাচিপের সভাপতি ডাঃ এম. এন. হুদা বলেন, আবাসিক এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণের নিয়ম নেই। চাঁদপুর শহরে অধিকাংশ হাসপাতাল আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে। সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দেলোয়ার বলেন, আবাসিক এলাকায় ও বাসা-বাড়িতে হাসপাতাল হওয়া ঠিক নয়। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষ ও সিভিল সার্জন দেখবেন। সিভিল সার্জন বলেন, নতুন হাসপাতাল হওয়ার বিষটি আমার জানা নেই। নিয়ম মেনে হাসপাতাল করতে হবে।

চাঁদপুর শহরে আবাসিক এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতাল নির্মাণের প্রয়াস এটাই প্রথম বা শেষ নয়। এমন বিষয় নিয়ে প্রায়শই চাঁদপুর কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু এমন হাসপাতালের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা যায়নি। বরং এটা জানা যায়, নানা অনিয়মের কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তালা লাগিয়ে সীলগালা করে দেয়া প্রাইভেট হাসপাতাল কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বিনা অনুমতিতে খুলে চালু করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রামণ্ডরহিমের সন্ধি একেবারে ওপেন সিক্রেট।

জেলা-উপজেলা সদরে সরকারি হাসপাতালের সামনে অপ্রয়োজনীয় প্রাইভেট হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে দালালদের মাধ্যমে রোগী ও ডাক্তার বাগিয়ে নেয়ার দৃশ্য তো এখন প্রকাশ্যই। দালালদের দৌরাত্ম্য দমনে ও সরকারি ডাক্তারদের দায়িত্বপালনে ফাঁকিরোধে নেই কার্যকর ব্যবস্থা। এতো উন্নয়নের ডামাডোলের মাঝে এতোটুকুন কাজ কি খুবই কষ্টকর ও ব্যয়বহুল?

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়