প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবের ১০ম দিনের আলোচনা সভায় পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন বলেছেন, চাঁদপুরের মতো একটি মফস্বল শহরে বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠী ৫০ বছরে পদার্পণ করা একটি ইতিহাস। কারণ সাধারণত মফস্বল শহরে কোনো সাংস্কৃতিক সংগঠন এতো বছর টিকে থাকার রেকর্ড খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর। সংগঠনটির সাথে জড়িত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠী ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যাবে, নাট্যচর্চার মধ্য দিয়ে সমাজ পরিবর্তন করার যে কৌশল সেটি অব্যাহত রাখবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে। চাঁদপুরের প্রাচীন বর্ণচোরা নাট্য গোষ্ঠীর ৫০ বছর পর্দাপণ উপলক্ষে ১১ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবের ১০ম দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আমরা মনে করি, চাঁদপুরের মতো মাঝারি মানের জেলা শহরে বর্ণচোরা নাট্য গোষ্ঠীর মতো সংগঠন মঞ্চ নাটকের দুর্দিনের মধ্যেও নিজেদের ধারাবাহিক কর্মকাণ্ড বজায় রেখে অস্তিত্বের সংগ্রামে টিকে থাকাটা যতো বড়ো কৃতিত্ব, তারচে' বড়ো কৃতিত্ব এটি উদযাপন সংক্রান্ত ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। দেশের নাট্যাঙ্গনে বহুল পরিচিত, চাঁদপুরের নাট্যাঙ্গনসহ সংস্কৃতি অঙ্গনের খ্যাতিমান ব্যক্তি, বর্ণচোরার সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরীর মতে, রাজধানীর বাইরে চাঁদপুর ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোনো জেলায় কোনো একক সংগঠনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব আয়োজনের কৃতিত্ব বা সাফল্য নেই। তাঁর এ তথ্য যদি সঠিক হয়, তাহলে বলতে হবে, কেবল চাঁদপুরের সংস্কৃতির ইতিহাসকেই বর্ণচোরা কেবল সমৃদ্ধ করলো না, দেশের সংস্কৃতির ইতিহাসেও নিজেদের অনিবার্য অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হলো।
১৯৭৪ সালের ১৭ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত চাঁদপুরের সবচে’ পুরানো নাট্যসংগঠন বর্ণচোরা ১১ অক্টোবর থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ১১দিনব্যাপী যে নাট্যোৎসব করেছে, তাতে দেশের সাতটি বিখ্যাত নাট্য সংগঠনসহ ভারতের তিনটি নাট্য সংগঠন পূর্ণাঙ্গ নাটক নিয়ে অংশ নেয় এবং চাঁদপুরের ৯টি নাট্য সংগঠন তাদের নাটকের অংশবিশেষ পরিবেশনা করে। হলভরা দর্শকে মঞ্চ নাটকের এগারোদিনব্যাপী উৎসবটি নিঃসন্দেহে সফল হয়েছে। এ উৎসবটির সাফল্য বর্ণচোরাসহ চাঁদপুরের অন্যান্য নাট্য সংগঠনকে স্মরণীয় আরো কিছু করতে উৎসাহ জোগাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা বর্ণচোরার উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি প্রত্যাশা করি।