প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ বাস্তবায়নে চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ৪ অক্টোবর বুধবার। ওইদিন বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মেহেদী হাসান। আরো বক্তব্য রাখেন নৌ পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নৌ) শ্রীমা চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, বেশ ক’জন ইউপি চেয়ারম্যান, চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক ও মৎস্যজীবী নেতৃবৃন্দ।
সভাপ্রধানের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ও জেলা টাস্কফোর্স সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, সারাদেশের মতো চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। সেই সাথে ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময় ইলিশ আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদের সরকার ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেবেন। তিনি বলেন, গত বছরের চেয়েও এবার মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ফলপ্রসূ হবে। চাঁদপুর সদর ও মতলব নৌসীমানায় কোস্টগার্ডের অস্থায়ী ক্যাম্প থাকবে। আমরা চাই সফল অভিযান। এজন্যে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় আসন্ন ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৩ সফলভাবে পরিচালনা করতে বিভিন্ন সমন্বিত কৌশল প্রণয়ন করা হয় এবং বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গত বছরের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের চেয়ে এবারের অভিযান ফলপ্রসূ হবার ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের আশাবাদে আমরাসহ ইলিশপ্রেমী সচেতন মানুষমাত্রই উজ্জীবিত না হয়ে পারে না। এবার নদীতে কোস্টগার্ডের অস্থায়ী ক্যাম্প এবং জেলা পুলিশে সদ্য যোগদানকৃত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রিভার)-এর তৎপরতা নিশ্চয়ই মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে নূতন মাত্রা যোগ করবে। এর সাথে যদি ইউপি চেয়ারম্যান ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, বিশেষ করে সরকারি দলের এমপি ও নেতৃবৃন্দসহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে নিরাপোষ ভূমিকা পালনের আগাম অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়, তাহলে জেলা টাস্ককোর্স মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের প্রস্তুতির পূর্ণাঙ্গতায় ভুগবে এবং আত্মবিশ্বাসী ও বলিষ্ঠ হবে বলে আমরা মনে করি।