রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

কিশোর গ্যাং সামলান
অনলাইন ডেস্ক

‘চাঁদপুর শহরে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ৪ জন রক্তাক্ত জখম’ শিরোনামে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদটি দেখে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, চাঁদপুরে কিছুদিন দমে থাকা কিশোর গ্যাং আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বয়সের কারণে ওদেরকে আইনের কঠোর ধারায় ফেলা যায় না বলে পুলিশ ওদের ব্যাপারে প্রায় সময়ই কঠিন কোনো ব্যবস্থাগ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে। সেজন্যে যেনো ওরা দুর্দমনীয়। ওরা স্থান পরিবর্তন করে থেমে থেমে ঘটায় যতো অঘটন। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে ওরা চলে যায় বিভিন্ন প্রান্তিক ও অপেক্ষাকৃত কম কোলাহলপূর্ণ এলাকায়। তারপর ঘটায় অঘটন। যেমনটি ঘটিয়েছে চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনী এলাকায় গত শনিবার।

চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, চাঁদপুর শহরে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে কিশোর গ্যাংয়ের অতর্কিত হামলা ও ছুরিকাঘাতে ৪ কিশোর রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনী এলাকার আমেনার মাঠ সম্মুখে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন গুয়াখোলা এলাকার কাদের ফরাজির পুত্র কাউছার (২০), ব্যাংক কলোনী এলাকার বারেক মাতাব্বরের পুত্র মেহেদী হাসান (১৭), চেয়ারম্যান ঘাট এলাকার বাদশা বেপারীর পুত্র তোহা (১৭) ও সোহেল মিয়ার পুত্র নাফিস (১৬)। এদের মধ্যে ছুরিকাঘাতে কাউছারের বাম হাতের নিচ থেকে বুকের পাঁজরের পাশে ওপর থেকে নিচে কোমর পর্যন্ত ৩৪ টি সেলাই দেয়া হয়েছে। ৪ জনের মধ্যে তার অবস্থা খুবই গুরুতর। জানা যায়, পূর্ব থেকেই তাদের দুই কিশোর গ্রুপের মাঝে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত কিশোররা জানান, শনিবার দুপুরে তারা ব্যাংক কলোনীস্থ আমেনার মাঠ নামক স্থানে বসেছিলো। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হঠাৎ ষোলঘর ও চেয়ারম্যান ঘাট এলাকার হিরন চৌধুরীর পুত্র মাসুম, ভোলা সুমন, আবাল শাওন, মুলা শাওন, তুহিন, আরিফ, আলফি, ফাহিম, শাকিব, শুভ ও সিয়ামসহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জন মিলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় কাউছারের শরীরের পেটে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। বাকিদেরকেও ছুরিকাঘাত এবং মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। ঘটনার পরপরই চাঁদপুর মডেল থানার এসআই ফেরদৌস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

আমরা অপরাধ বিশেষজ্ঞ নই, তবে পর্যবেক্ষক। আমরা সে আলোকে মনে করি, কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে শনিবার চারজনের রক্তাক্ত হবার ঘটনার প্রতিশোধস্বরূপ চাঁদপুর শহরে অচিরেই হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। সেজন্যে কিশোর গ্যাংকে সামলানোর ব্যাপারে পুলিশকে কোনো না কোনো উপায় খুঁজে বের করতেই হবে। আমরা এই উপায় খুঁজে পেতে পুলিশকে এটা বলছি যে, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের অভিভাবকরা স্বীয় উদাসীনতা, প্রশ্রয় প্রদান বা অন্য কারণে তাদের সন্তান বা পোষ্যদের বিপথগামিতার জন্যে যে কম-বেশি দায়ী এবং সেই দায় যে তারা কোনোভাবেই সমাজের শান্তির প্রশ্নে এড়াতে পারেন না, সেটা তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে থানা/ ফাঁড়িতে কিংবা সুবিধাজনক স্থানে অভিভাবক সমাবেশ করা জরুরি। এমন সমাবেশে বড়ো পুলিশ কর্মকর্তারা দিতে পারেন প্যারেন্টিং কিংবা অভিভাবকত্বের সুষ্ঠুতা বিষয়ক প্রাঞ্জল বক্তব্য এবং কার্যকর দিকনির্দেশনা। এতে অনেক অভিভাবকের মনোজগতে যে পরিবর্তন আসবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়