রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

‘পুলিশ চাইলে কী না পারে!’
অনলাইন ডেস্ক

‘পুলিশ চাইলে কী না পারে!’--এটি আমাদের দেশে প্রবাদ বাক্যের মতো। এটি পুলিশ সম্পর্কে নেতিবাচক কোনো উচ্চারণ নয়, বরং ইতিবাচক। গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে 'চাঁদপুর শহরে স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারসহ ৩ চোর গ্রেফতার' শিরোনামের সংবাদটি পড়ে অধিকাংশ পাঠকের মুখে ইতিবাচকতায় উচ্চারিত হয়েছে উল্লেখিত কথা, অর্থাৎ 'পুলিশ চাইলে কী না পারে!'

সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, চাঁদপুরে শহরের ট্রাক রোড এলাকার একটি বাসায় চুরি হওয়া ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার থেকে চোরদের হেফাজত হতে ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় চোর চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ২৭ আগস্ট রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে ২৬ আগস্ট বুধবার দিবাগত রাতে ট্রাক রোডসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন : শাহরাস্তি উপজেলার স্বপন গাজীর ছেলে ইমন গাজী, শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার দুলাল খানের ছেলে হুমায়ন কবির বাবু ও রহমতপুর কলোনীর মানিক মালের ছেলে আল-আমিন মাল। গত ২৬ আগস্ট ভুক্তভোগী ফরিদ আহমেদ খান শিপন বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি চুরির মামলা করেন। যার নং-৭১। মামলাটি তদন্তের জন্যে দায়িত্ব দেয়া হয় নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ রাকিবুল ইসলামকে। চুরি যাওয়া মালামালের মধ্যে ছিল ৮ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার, যার সর্বমোট মূল্য ৮ লাখ টাকা এবং নগদ ২০ হাজার টাকা। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ব্যবসায়িক কাজে ফরিদ আহমেদ খান শিপন ৩ আগস্ট ঢাকা যান। গত ৭ আগস্ট সকালে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া তাহমিনা বেগম পিছনের দরজার লক ভাঙ্গা ও দরজা খোলা দেখতে পেয়ে বিষয়টি ভুক্তভোগী শিপন কে জানান। পরে তিনি জরুরি ফোন পেয়ে চাঁদপুর চলে আসেন। এসে দেখেন চোর তার বাসা থেকে চোর ৮ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, চোরাই স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারে অজ্ঞাতনামা আসামী সম্বলিত মামলাটি দায়েরের পর নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ ওলি উল্লাহর নেতৃত্বে মাঠে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রথমে মূল হোতা ইমন গাজীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে বাবু ও আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। বাবুর বাড়িতে লুকিয়ে রাখা ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। আর নগদ টাকাগুলো তারা খরচ করে ফেলে বলে জানায়। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শেখ মুহসীন আলম জানান, রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে অপরাধী শনাক্ত ও আটকে পুলিশের সাফল্য এখন মামুলি ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সব থানায় তথ্য প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ পুলিশ কর্মকর্তা নেই। কোনো থানায় মোবাইল ফোন চুরি বা হারানোর জিডি বা অভিযোগ দেয়ার স্বল্প সময়ে ফোন পাওয়া যায় বা উদ্ধার হয়, আবার কোনো থানায় সেটা হতে দেখা যায় না। কারণ বহুবিধ। কোনো কারণ তিক্ত, অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য, আবার কোনোটি রহস্যময়। সবচে' বড় কথা, পুলিশ কর্মকর্তার আন্তরিকতা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ যথাযথভাবে পালনের মানসিকতা থাকলে সেটি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর থাকে না। সেটি তথ্য প্রযুক্তিকে হার মানায়। পুলিশকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, অপরাধী শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারের কৌশল সহ যতো কিছু শেখানো হয়, তার অধিকাংশ কর্মক্ষেত্রে হুবহু প্রয়োগ করলে সুফল প্রাপ্তিটা নিশ্চিত। ক্লুলেস মার্ডার সহ যে কোনো অপরাধের কারণ উদ্ঘাটন, আসামীবিহীন মামলার আসামী চিহ্নিতকরণ সহ অনেক কিছুই পুলিশ তার প্রাপ্ত প্রশিক্ষণের কল্যাণে করতে পারে। এ ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি দিতে পারে গতি, তবে সব কিছু নয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়