প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে ‘ফরিদগঞ্জে চেতনানাশক ঔষধ প্রয়োগে চুরি ॥ শহরের মলম পার্টি এখন গ্রামে’ শিরোনামের সংবাদটিতে নুরুল ইসলাম ফরহাদ লিখেছেন, ফরিদগঞ্জে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে। নতুন এই স্টাইলের চুরি বিগত সময়ে দেখা যায়নি। এ রকম মলম পার্টি তথা অজ্ঞান পার্টির ঘটনা শুধু শহরে, গাড়িতে এবং লঞ্চেই ঘটতো। সময়ের পালাক্রমে তা গ্রামে প্রবেশ করেছে। আর এই স্টাইলে হঠাৎ করে চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। রাতের আঁধারে গ্রিল কেটে অথবা টিন কেটে ঘরে প্রবেশ করে চোরের দল। ঘরের লোকদের চেতনানাশক ঔষধ প্রয়োগ করে নির্দিষ্ট কিছু জিনিস চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। চুরির ধরণ দেখে অনুমান করা যায়, মাদকাসক্তরা এ কাজ করতে পারে। বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট গভীর রাতে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সাহাপুর গ্রামের তালুকদার (তালগইচ্ছা) বাড়িতে এ রকম একটি চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ ইমাম হোসেন তার পরিবার নিয়ে যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, ঠিক তখনই তাদের ঘরের বেড়া কেটে প্রবেশ করে চোর। ইমাম হোসেনের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের কানের দুল নেওয়ার সময় সে জেগে উঠে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন সেখানে ছুটে আসেন। পরে দেখা যায় ইমাম হোসেনের স্ত্রীর কানের দুল এবং গলার চেইন নেই। মেয়ে জান্নাতের কানের দুল নেই। গণমাধ্যমকর্মীরা বিকেল সাড়ে তিনটায় সেখানে গিয়ে ইমাম হোসেনকে অচেতন অবস্থায় পান। এ সময় তার স্ত্রী লাইলী বেগম বলেন, আমরা তিনজন রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি। রাতে আমাদের ঘরে চোর ঢুকে। ভাগ্য ভালো আমার মেয়েকে অচেতন করতে পারেনি। তার ডাক-চিৎকারে সবাই চলে আসে এবং চোর চলে যায়। যাওয়ার আগে তারা আমার কানের স্বর্ণের দুল এবং গলার চেইন আর মেয়ের কানের দুল নিয়ে যায়। সবক’টি ১ভরি ৪ আনা। ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মান্নান বলেন, এমন চুরির বিষয়ে মানুষকে সচেতন হতে হবে। রান্না করা খাবার পাক ঘরে রাখা যাবে না। চোরেরা চুরির নতুন কৌশল প্রয়োগ করছে। আমরা চেষ্টা করছি এই চক্রকে ধরার।
এটা সত্য, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি কিংবা চেতনানাশক স্প্রে করার দক্ষতাওয়ালা চোরদের তৎপরতা এক সময় শহরকেন্দ্রিক ছিলো। সেই তৎপরতা গ্রামে ছড়িয়ে পড়া উদ্বেগজনক। এদের তৎপরতা তথা চুরিরোধে প্রতিটি পরিবারে সচেতনতা অবলম্বনের বিষয়ে থানার ওসি গুরুত্বারোপ করেছেন। কিন্তু এই সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর বিকল্প নেই। সেজন্যে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংকে কাজে লাগানোর বিষয়টি মাথায় রাখতেই হবে থানা কর্তৃপক্ষের। একই সাথে অজ্ঞান পার্টিকে ধরার জন্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশল ব্যবহারে পুলিশকে হতে হবে আন্তরিক।