প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)-এর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্পের আয়োজনে শিক্ষার্থীদেরকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধকালীন বীরত্বগাথা শোনানোর দুটি অনুষ্ঠান গত ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদপুরের অনুষ্ঠান জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট (অবঃ) এমএ ওয়াদুদ সহ চারজন মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁদের বীরত্বগাথা শোনান। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাঁদেরকে প্রশ্ন করেন এবং কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার জিতে নেন। প্রধান স্মৃতিচারক হিসেবে জনাব এমএ ওয়াদুদ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, কেন ১৯৭২ সাল থেকে শুরু করা হলো না বীরত্বগাথা শোনানোর এমন অনুষ্ঠান? তিনি এমন অনুষ্ঠানকে বিলম্বিত উদ্যোগ বললেও তিনিসহ অন্য সকল বক্তা নিঃসন্দেহে মহৎ উদ্যোগ বলে আখ্যায়িত করেন।
ফরিদগঞ্জে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বীরত্বগাথা শোনানোর অনুষ্ঠানে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদ উল্ল্যা তপাদার সহ চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে স্মৃতিচারণ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুন নেছার সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামুকার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্পের পিডি (উপ-সচিব) ড. নূরুল আমিন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই ধরনের এই আয়োজন শুধু উপজেলা পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দেয়া উচিত। আমাদের নতুন প্রজন্ম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের অজানা ইতিহাস শুনতে পারলে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম আরো জাগ্রত হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে তারা জানতে পারবে।
জামুকার প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা শোনানোর আয়োজন ছিলো ২৩ ও ২৪ তম। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় ১২৮টি এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের সুযোগ থাকলেও সকল উপজেলায় আয়োজনের সুযোগ আপাতত জামুকার হাতে নেই। তবে জামুকা জেলা-উপজেলায় যে অনুষ্ঠানগুলো করেছে ও করবে, সেগুলোকে মডেল হিসেবে নিয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা শোনানোর অনুষ্ঠান সকল উপজেলায় নিজস্ব উদ্যোগ ও খরচে আয়োজন করতে পারাটা খুব কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল বিষয় নয়। এজন্যে সদিচ্ছা ও আন্তরিকতাই যথার্থ বলে মনে করি। এতে জাতির পিতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেম সঞ্চারের কাজটা খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমরা মনে করি।