প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

চলছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ। এ উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রান্তিক পর্যায়ে মৎস্য চাষী ও মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৬ জুলাই বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় সরকার জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল দেয়। আর সে চাল আনতে জেলে নিজে যায় না, তার স্ত্রী-সন্তানদের পাঠায়। খোঁজ নিয়ে জানি, ওই জেলে তখন নদীতে মাছ ধরতে গেছে। ১শ’ কেজি করে চাল দিলেও কিছু জেলের খাসলত পরিবর্তন হবে না। আমি চেয়ারম্যানদের বলেছি, যার নামে কার্ড তাকেই চাল দিবেন। তিনি আরো বলেন, ইলিশ জাতীয় সম্পদ। এটা রক্ষা করা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। ইলিশ মাছের পাশাপাশি অন্য মাছেরও দেখভাল আমাদেরই করতে হবে।
জেলেদের মাঝে চাল বিতরণকালে ট্যাগ অফিসার হিসেবে যারা দায়িত্বপালন করতে যান, তাদের কারো কারো এবং ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে কারো কারো শিথিলতার কারণে জেলে ছাড়া তার স্ত্রী/সন্তানদের হাতে চাল তুলে যে দেয়া হয়, সেটি অস্বীকার করার উপায় নেই। আবার জেলে নয়, দিনমজুর / কাজের বুয়া এমন লোককেও দেয়া হয় চাল। এমন বাস্তবতায় কিছু প্রকৃত জেলের বঞ্চিত হবার চিত্র অধিকাংশ ইউনিয়নেই দেখা যায়। এটার জন্যে দায়ী কে সেটা নিয়ে যেমন উচ্চবাচ্য নেই, তেমনি চাল গ্রহণকারীদের মধ্যে কারচুপির আশ্রয় নেয়াদের বিষয়েও নেই। তাই তো চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলেদের খাসলতের কথা বলে কার্যত চেয়ারম্যানদেরকেও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে তীক্ষè সচেতন হবার পরামর্শ দিয়েছেন। এটাকে ইউপি চেয়ারম্যানদের ইতিবাচকভাবে নেয়া বাঞ্ছনীয় বলে মনে করি।
জেলেদের চাল সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের অনেক স্থানেই ইউপি চেয়ারম্যানগণ আর্থিক হয়রানি, পরিমাপে কম পাওয়া ও বিতরণে কম দেয়া নিয়ে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জটিলতার মুখোমুখি হওয়া, মিথ্যা অপবাদের শিকার হওয়া সহ অপ্রত্যাশিত ও দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। এগুলোর সমাধান পেতে কী পদক্ষেপ নেয়াটা উদ্ভাবনীমূলক ও কার্যকর হতে পারে, সেটা নিয়ে প্রায়শই কথা হয় নানা সভা/সেমিনারে, কিন্তু কাজের কাজ এখন পর্যন্ত কিছুই হয়নি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/দপ্তরকে খুবই সিরিয়াস হওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।