বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৫ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

গণকবরস্থান নির্মাণের উদ্যোগটি সময়োপযোগী
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডস্থ রঘুনাথপুরে একটি গণকবরস্থান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা প্রবীণ-নবীন সমাজসেবা সংগঠনের উদ্যোগে এ সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার (২৪ জুলাই ২০২৩) এ লক্ষ্যে স্থানীয় সমাজসেবী ও ব্যবসায়ী হাজী আনিসুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং অন্যান্য সমাজসেবীর প্রচেষ্টায় ৫৫.৮৭ শতাংশ ভূমি দানপত্র দলিলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী আলহাজ আব্দুল মতিন বাবুল ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন মিয়াজী (জয়নাল মাস্টার), জয়নাল আবদিন খান, হাজী আনিসুর রহমান খান, আবুল বেপারী, বিল্লাল মাস্টার, পারভেজ মাহমুদ খানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ভূমি রেজিস্ট্রেশন কাজে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন। উদ্যোক্তারা জানান, এই গণকবরস্থানে দরিদ্র-অসহায় সর্বসাধারণের লাশ দাফন করাসহ দাফন কাজে যেসব সহযোগিতা প্রয়োজন হবে তা তারা সম্পূর্ণ বিনা খরচে করবেন। এছাড়া প্রবীণ-নবীন সেবা সংগঠনের উদ্যোগে ইতিমধ্যে জাকাত ফান্ড গঠনের মাধ্যমে বেশ কিছু অসহায় পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সংগঠনের মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বিয়ে দেয়াসহ অন্য সেবামূলক কাজ পরিচালিত হবে বলে তারা জানান।

উল্লেখ করা দরকার, চাঁদপুর শহরে পৌরসভার আওতাধীন দুটি গণকবরস্থান রয়েছে। একটি তালতলাস্থ পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এবং অন্যটি পুরাণবাজার এলাকার ২নং ওয়ার্ডের মধ্য শ্রীরামদীতে। এর বাইরে চাঁদপুর বড়ো স্টেশন এলাকায় রয়েছে রেলওয়ে কবরস্থান। তালতলা থেকে বাবুরহাট পর্যন্ত চাঁদপুর পৌরসভার এলাকা পূর্বদিকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সম্প্রসারিত হবার পর এবং পুরাণবাজারে রঘুনাথপুর পর্যন্ত ২-৩ কিলোমিটার সম্প্রসারিত হবার পর দুটি পৃথক সম্প্রসারিত এলাকায় নূতন গণকবরস্থান নির্মাণের দাবি উঠে। বিশেষ করে বাবুরহাট এলাকায় গণকবরস্থান নির্মাণের দাবি ভীষণ জোরালো হয়ে উঠে। কিন্তু স্থানাভাবে ও সামর্থ্যরে অভাবে পৌরসভা সে দাবি পূরণ করতে পারে নি। তবে তালতলার কবরস্থান এলাকার পুকুর ভরাট করে বিদ্যমান কবরস্থান-এলাকা সম্প্রসারিত করে উপরোল্লিখিত জোরালো দাবি অনেকটাই সামাল দিয়েছে। অপরদিকে রঘুনাথপুরে সম্প্রসারিত পৌর এলাকায় প্রবীণ-নবীন সমাজসেবা সংগঠনের উদ্যোগে প্রায় ৫৬ শতাংশ জায়গায় নূতন গণকবরস্থান নির্মাণের প্রয়াস পৌর কর্তৃপক্ষকে কার্যত স্বস্তি দেবে বলে আমাদের বিশ্বাস। কেবল দানকৃত জায়গা পেলেই কবরস্থান হয়ে যায় না। বালি/ মাটি ফেলে জায়গা উঁচু করলেই কবরস্থানের জায়গা ব্যবহার উপযোগী হয়। এই ব্যবহার উপযোগিতার প্রশ্নে চাঁদপুর পৌর কর্তৃপক্ষের স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এগিয়ে আসা উচিত বলে আমরা মনে করি। এতে রঘুনাথপুরে নূতন কবরস্থান নির্মাণের উদ্যোক্তাগণ কম-বেশি স্বস্তি এবং প্রণোদনা অনুভব করবেন। আমরা পৌর কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে তাগিদ দিতে নির্বাচিত সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়