বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সমাবেশ

সমাজের অসংগতি দূরীকরণে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য : ডাঃ দীপু মনি এমপি

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা সমাজকে সুসংগঠিত করে : মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি

সমাজের অসংগতি দূরীকরণে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য : ডাঃ দীপু মনি এমপি
বিমল চৌধুরী ॥

চাঁদপুরে জেলা, উপজেলা ও পৌর এলাকায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক ও আমন্ত্রিত অতিথিসহ সুধীজনদের ব্যাপক উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাংবাদিক সমাবেশ। গত ১৩ অক্টোবর শুক্রবার সকালে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মাঠে জেলার সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে এই সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-৩ আসনের এমপি শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। তিনি সাংবাদিক সমাবেশকে সাংবাদিকদের মিলন মেলা আখ্যায়িত করে বলেন, আমিও সাংবাদিক পরিবারের সন্তান। সাংবাদিকদের সাথে রয়েছে আমার আত্মার সম্পর্ক। আমার বাবাও ছিলেন একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। তাই শৈশব থেকেই সাংবাদিকদের কর্মকাণ্ড খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। সমাজের অসংগতি দূরীকরণে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সংবাদপত্র এখন শুধু প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধতা নেই। এর অনেক বিস্তৃতি হয়েছে। যার জন্যে অনেক ক্ষেত্রে এর মান থাকছে না। মানবিহীন সংবাদ সমাজের কল্যাণ করতে পারে না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ তথ্য মানুষের মাঝে তুলে ধরা সাংবাদিকদের কর্তব্য, আর তা করতে গিয়ে কে খুশি হলো বা কে অখুশি হলো তা দেখার দায়িত্ব কিন্তু সাংবাদিকদের নয়। চটকদার শিরোনাম দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করলাম, অথচ দেখা যায় সংবাদের ভিতর কিছুই নেই, সংবাদটি করা হয়েছে শুধু ব্যক্তি বিশেষকে খুশি করার জন্য। তিনি তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে আরো বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক কাজ করেছেন। তাঁরই নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরেও অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আজ থেকে ১০ বছর পূর্বেও কি আমরা ভাবতে পেরেছি আমাদের দেশে টানেল, পাতাল রেল, পদ্মা সেতু নির্মাণ হবে? তখনকার সময় হয়তো এ বিষয়ে আমরা স্বপ্ন দেখেছি, কিন্তু আজ তা আমার দেশে বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্নই দেখান না, স্বপ্ন বাস্তবায়নও করেন। তিনি সকল অপশক্তিকে পরাজিত করে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে আরো বলেন, আমাদের সন্তানদের উন্নত জীবন গড়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকারের প্রয়োজন রয়েছে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছেন এবং এই নির্বাচনে বাংলার মানুষ দেশের স্বার্থে উন্নয়নের স্বার্থে শেখ হাসিনাকেই নির্বাচিত করবেন। তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচনকালীন যে সকল প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছি তা বাস্তবায়ন করেছি। উন্নয়নের শেষ নেই। আপনাদের আমানতের খেয়ানত করি নাই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিথ্যা অপপ্রচার থাকতে পারে, কিন্তু আমি কি আমার দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছি? তা আপনাদেরকেই ভাবতে হবে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন কার্যক্রম জনগণের মাঝে তুলে ধরতে হবে। সকল অপশক্তি দূর করে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাংবাদিক সমাবেশের শুভ উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের ২নং সেক্টর কমান্ডার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি। তিনি বলেন, প্রেসক্লাবের সাথে আমার রয়েছে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। ১৯৬২ সাল থেকে সাংবাদিক পেশার সাথে জড়িত। তখন ইউপিপি সংবাদ সংস্থার সাথে কাজ করেছি। ৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখতে চেষ্টা করেছি। যুদ্ধ শেষে বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসতে পেরেছি। যা অনেকেই পারেন নি। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা পেশা একটি মহৎ পেশা। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেই এই পেশা পালন করতে হয়। নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন করাই হলো সাংবাদিকতার মূল লক্ষ্য। তাতে কে কী ভাবল তা দেখার বিষয় নয়। তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা সমাজকে সুসংগঠিত করে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে আমার প্রকাশিত লেখায় সমাজ উপকৃত হয়েছে না ক্ষতি হয়েছে। সমাজে ক্ষতি হয় এমন সংবাদ সংবাদ নয়। তিনি জাতির পিতার প্রতি সম্মান জানিয়ে আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাথে সাংবাদিকদের আত্মার গভীর সম্পর্ক ছিলো। তিনি সাংবাদিকদেরকে অনেক ভালোবাসতেন। যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও রয়েছে। জনবান্ধব প্রধানমন্ত্রীও দেশ ও সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করছেন। করোনা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব অর্থনীতির অনেক ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে আরো বলেন, দেশে আজ রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। তা থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। বৈশি^ক পরিস্থিতির কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। পৃথিবীর সব কিছুই মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। দেশের ভূখণ্ড অনুযায়ী আমাদের জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় আমরা তা নিয়ন্ত্রণে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছি। তিনি মানুষের মাঝে হতাশা সৃষ্টি না করে তাদেরকে আশার আলো দেখানোর আহ্বান জানান।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় সমাবেশের প্রথম অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত অতিথি এফবিসিসিআইর পরিচালক শাহাবুদ্দিন অনু। আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, বিএম হান্নান, শরীফ চৌধুরী, শহীদ পাটোয়ারী, বর্তমান সহ-সভাপতি সোহেল রুশদী, শাহাদাত হোসেন শান্ত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, রিয়াদ ফেরদৌস, সাংগঠনিক সম্পাদক কাদের পলাশ প্রমুখ।

সমাবেশে ক্রীড়ামোদী হিসেবে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, শ্রেষ্ঠ করদাতা হিসেবে প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য এমএ লতিফ ও জাতিসংঘে সংবাদ সংগ্রহে অবদান রাখায় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি রহিম বাদশাকে সংবর্ধনা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

সমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাশেদ চৌধুরী, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শেখ মুহসীন আলম, জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডঃ রনজিৎ রায় চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, তমাল কুমার ঘোষ, পরিচালক গোপাল সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সালাউদ্দীন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, শিক্ষামন্ত্রীর চাঁদপুরের প্রতিনিধি অ্যাডঃ সাইফুদ্দিন বাবু, জেলা পরিষদ সদস্য আয়েশা রহমান লিলি, পৌর কাউন্সিলর খালেদা রহমান প্রমুখ।

নামাজ ও মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি দিয়ে বিকেল ৩টায় একইস্থানে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সাংবাদিক সমাবেশের দ্বিতীয় অধিবেশন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব উন্নয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী। তিনি বলেন, আমি কিন্তু সাংবাদিক নই। তারপরও সাংবাদিকদের সম্মান করি। প্রেসক্লাবের সাথে আমাকে সম্পৃক্ত করে আমাকে গৌরবান্বিত করা হয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ করতে চাঁদপুর প্রেসক্লাব কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে বলেন, একজন সিএনজি চালকের ভেতর যদি লেখনী শক্তি থাকে তাহলে তাকেও সম্মান দেয়া যেতে পারে। তাকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তিনি সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছেন তা তুলে ধরার জন্যে। তিনি বলেন, আপনারা সমাজের অসংগতি তুলে ধরলে আমরা যারা রাজনীতি করি তা সমাধান করতে চেষ্টা করবো। সমাজে এমন কিছু করা যাবে না, যা মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে, গুজবে পরিণত হয়। তিনি সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করারও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় দ্বিতীয় অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক জালাল চৌধুরী, অধ্যাপক দেলোয়ার আহমেদ, গিয়াসউদ্দিন মিলন, রহিম বাদশা, ফারুক আহম্মদ, খোরশেদ আলমসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিকবৃন্দ।

সাংবাদিক সমাবেশে সাংবাদিকদের ব্যাপক উপস্থিতি ও দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সময় দেওয়াসহ শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সম্পন্ন হওয়ায় প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ আমন্ত্রিত অতিথিসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সাংবাদিকদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

দ্বিতীয় অধিবেশনে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকগণ তাদের বক্তব্য বলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাব একটি স্বতন্ত্র সংগঠন হওয়া সত্ত্বেও জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের কল্যাণে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে যে চেষ্টা করেছেন তা সত্যি প্রশংসনীয়। বিগত ২০১৫ সাল থেকে সাংবাদিক সমাবেশের মাধ্যমে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের একত্রিত করতে চেষ্টা করছেন আমরা প্রেসক্লাবের এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে একত্রিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এজন্য চাঁদপুর প্রেসক্লাব প্রশংসার দাবিদার। তারা প্রেসক্লাব নেতৃত্বের প্রতি দাবি জানিয়ে আরো বলেন, স্থানীয় পত্রিকায় সাংবাদিক নিয়োগের ক্ষেত্রে যাতে তাদের পারিবারিক ও চারিত্রিক গুণাবলি বিশ্লেষণ পূর্বক নিয়োগ দেয়া হয়। অসামাজিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত কাউকে যাতে পত্রিকায় নিয়োগ দেয়া না হয় তা দেখার জন্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠান শেষে সকল সাংবাদিককে প্রীতি উপহারে সম্মানিত করা হয়। প্রীতি উপহার বিতরণ করেন দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রধান অতিথি আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারীসহ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।

প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশ ছিল লক্ষ্যণীয়। দিনব্যাপী সাংবাদিক সমাবেশে যোগ দিতে এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকগণ স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে অনুষ্ঠানস্থলে ভিড় জমান। তারা প্রেসক্লাব আয়োজিত এলিট রেস্তোরাঁ একত্রিত হয়ে সকালের নাস্তা গ্রহণ করেন। আর আগত এ সকল সাংবাদিককে স্বাগত জানান প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন। পুরো অনুষ্ঠানজুড়েই ছিল উৎসবের আমেজ। তাদের প্রাণের একাগ্রতায় কয়েকশ’ সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সাংবাদিক সমাবেশ রূপ নেয় মিলনমেলায়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়