সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ৩৪ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫

দেবদাস কর্মকারের কবিতা

অনলাইন ডেস্ক
দেবদাস কর্মকারের কবিতা

ছায়া সাথী

তাকে উপেক্ষা করে মাঝ রাত্তিরে যাই স্বর্ণচাঁপার পাশে

সযত্নে ছাদের মায়াবী বিতানে নানা রঙে ফুটেছে সে

ছায়া অন্ধকারে মাথার ওপরে নকশা করা নক্ষত্র আকাশ

পুলক বাতাস শিশিরের সাথে ঝরে শরতের মৃত্তিকায়।

যে মুখ দাঁড়ায় তুলোট মেঘের ছায়ায় আঁধারের মতো

মনের মানুষ জ্যোৎস্না পোড়ায় যাকে রাতের বেলায়

কতো কতো মুখ মনের মিছিলে জাগে,

দূরের মানচিত্রে স্মৃতিমালা কারুময়, পিপাসা মেটেনি যখোন

কী যেন কী এক উষ্ণতা বিরহ সঞ্চিত আঁখিজল

দীপ্ত তনুকান্তি অমর মিথুনে উত্তীর্ণ তবু তা ধন্য নয়।

একটি জীবন যায় কেটে পাশাপাশি সংসারে উপল বন্ধুর পথে

অর্ধবিকশিত সুকৃতি যায় ঝরে রক্তিম কলির জঠরে

মনের মানুষ শুধু ঘুমোয় মনের ভেতরে নিকষ সুধায়।

২৯ আগস্ট ২০২৫ ঢাকা, ১৪ ভাদ্র ১৪৩২ শরৎকাল।

চলে গেলেই খুব মনে হয়

রূপান্তরের আকাশ ঢেকে যায় বিকেলের বেলা

কেউ চলে গেলেই সবকিছু ফাঁকা হয়ে যায়

মন চিহ্নের স্বরমালা শূন্যতা ভেঙ্গে হয় দূরের যাত্রী

যেন নিরস্ত্র দণ্ডিত অভিযাত্রী পাড়ি দিতে অন্তহীন পথ।

একটি জীবন অভিমানী হয়ে যেতে যেতে কী যেন করে নিবেদন

পুরনো গল্পের সোনার কাঠি রূপোর কাঠির স্বপ্নকথা

আর সেই সমস্ত রাঙা রাজকন্যারা--

সব যেন কানামাছি বিবর্ণ অনন্ত মুহূর্তের কথা

ইতিহাস বিস্তৃত সন্ধ্যায় যখোন ধূসর হয় সবকিছু

মনে হয় একটু রঙ্গিন হলে কী যেন উৎসব ঘটে যায়।

শৈশব স্মৃতিকণা টানে খুব করে বারবার

তখন আতঙ্ক পাণ্ডুর পাণ্ডুলিপি পড়ে থাকে অযত্নের ঘরে,

হৃদয়ে যখোন জমে অযাচিত স্ফটিক স্বচ্ছ জল

অনুৎকণ্ঠিত ইন্দ্রনীলে জেগে ওঠা নয়ননন্দন চিত্র

তখোন বারবার দেখি তোমার মাধবী বিতানে কী নিবিড় বেষ্টনে

শঙ্খপদ্মের পাশে অনিন্দিত রক্তাশোকদল,

সমস্ত শূন্যতা ভেঙ্গে যায়,

আকাশ থেকে উড়ে আসে

সব সলিল বিলাসী সাদা পাখিদের ডানা

কেউ চলে গেলে ঠিক মনে হয় এই হলদে নদী

আর এই সব ফাঁকা গোলাপি বিকেলের কথা।

২২ আগস্ট ২০২৫ ঢাকা, ৭ ভাদ্র ১৪৩২, শরৎকাল।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়