প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২২, ০০:০০
কুড়ি বছরের খুদে বটগাছ। শুনে অনেকেই অবাক হবেন। চোখ কপালে উঠে যাবে। এটি আবার কেমন করে হয়। সাধারণত বটগাছগুলো হয় বিশাল আকৃতির এবং ডালপালাগুলো প্যাঁচানো গোছানো বিশাল আকৃতির হয়ে দৃশ্যমান থাকে। কিন্তু এটি ভিন্ন রকমের বটগাছ। এ বটগাছটি ১৮ ইঞ্চি লম্বা, ১০ ইঞ্চি পাশ। ২০০০ সালের ১২ ডিসেম্বর ভাড়া বাড়ির দেয়ালের কার্নিস থেকে নিয়ে মোঃ ইসমাইল হোসাইন শুরু করেন বটগাছটির পরিচর্যা। বটগাছ যে কোনো জায়গায় জন্মায়। তবে এ বটগাছটি ভিন্ন পরিসরের। এটি লম্বা হয় না, পাশে বাড়ে।
বিদেশের মতো আমাদের দেশেও ছাদ বাগানের প্রয়াস এখন আর শুধু স্বপ্নেই নয়, বাস্তবে আবাসস্থলে ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যতিক্রমী এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ইসলামী ব্যাংক পুরাণবাজার শাখার ম্যানেজার মোঃ ইসমাইল হোসাইন। তার ব্যক্তি উদ্যোগে ছাদ বাগান। ছোটবেলা থেকেই কৃষি কাজের প্রতি আগ্রহ তার। নিজস্ব বাড়ির ছাদে ২০১৩ সাল থেকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এগুলো করেছেন। ২৫শ’ বর্গফুটের ছাদে শোভা পাচ্ছে আম, বাউকুল বড়ই, কাজী পেয়ারা, লেমন গ্রাস, মেহেদী গাছ, বেলি ফুল, ডালিম গাছ, কাঁঠাল গাছ, পাতা বাহার, ড্রাগন, লিচু, টমেটো, গোলাপ, কাগজী লেবু, রঙ্গিন ফুল, ক্যাকটাস, আনারস, মিষ্টি আলু, মুরগি, কবুতর, ব্লাক লাহড়ী, রেড লাহড়ী নামের নানা কবুতর, রেসার হোমা ১৮ জোড়া, দেশি মুরগি ১৫ পিচ। এই বাগানে গাছে গাছে ঝুলে আছে বিভিন্ন ধরনের ফল, ফুলসহ নানা ধরনের সবজি। আর সে সাথে রয়েছে কুড়ি বছরের খুদে বটগাছ।
মোঃ ইসমাইল হোসাইন বলেন, কৃষি আমার অনেক পছন্দের। তাই কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকাই উদ্দেশ্য। আমার নিজ চেষ্টায় ছাদে এ বাগান করেছি। কীটনাশকমুক্ত সবজি ও ফল উৎপাদন করাই আমার লক্ষ্য। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১০ থেকে ১২ বার শাকসবজি আমরা রান্না করে খেয়েছি। তিনি সবাইকে সবুজায়ন ও কীটনাশকমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে এমন ছাদকৃষি করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও শহরে থেকে বাসার ছাদকে কাজে লাগিয়ে এমন বাগান করলে পরিবেশসহ মানুষ উপকৃত হবে বলে যোগ করেন ওই কর্মকর্তা।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ভাটিরগাঁও গ্রামের মরহুম আব্দুল আজিজ মিয়াজীর পুত্র মোঃ ইসমাইল হোসাইন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু সড়কস্থ ইসমাইল ম্যানশনে থাকেন। আর সেখানেই করেছেন পশুপাখিসহ সবুজায়ন। তার স্ত্রী খালেদা বিনতে রহমান চাঁদপুর পৌরসভার ৬২নং গুণরাজদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার দু ছেলে রেজওয়ান তাসফিন চাঁদপুর সরকারি কলেজে এইচএসসিতে পড়ে আর রেদওয়ান তাহসিন আল-আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ প্রধান ক্যাম্পাসে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। পরিবারের সবাই মিলে ছাদ বাগানে রুটিনমাফিক কাজ করছেন বলে ইসমাইল হোসাইন জানান।