প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৪, ০০:০০
নাসা হেড কোয়ার্টার পরিদর্শন করল নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২
চ্যাম্পিয়ন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘টিম ডায়মন্ডস’ দল
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২ প্রতিযোগিতায় ‘মোস্ট ইন্সপিরেশনাল’ প্রোজেক্ট হিসেবে চ্যাম্পিয়ন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের দল ‘টিম ডায়মন্ডস’ উইনার সেলিব্রেশন ২০২৪ ইভেন্টে এখন ইউএসএতে অবস্থান করছে। টিম ডায়মন্ডস-এর সদস্যবৃন্দ হলেন : টিসা খন্দকার (টিম লিডার), মুনিম আহমেদ (সিস্টেম ডিজাইনার), ইঞ্জামামুল হক সনেট (সিস্টেম আর্কিটেক্ট), আবু নিয়াজ (সিস্টেম ডেভেলপার) ও জারিন চৌধুরী (রিসার্চার)। জুন মাসের ৪/৫/৬ তারিখে তারা নাসার বিভিন্ন ইভেন্ট অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ৫ তারিখে নাসার হেডকোয়ার্টার ওয়াশিংটনে তাদেরকে সংবর্ধনা দেয়া হয় এবং তাদেরকে প্রেজেন্টেশন দেওয়ারও সুযোগ দেয়া হয় এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। তারপর দিন ৬ তারিখ নাসা তাদের মেরিল্যান্ডে অবস্থিত একটি উড্ডয়ন কেন্দ্রে যেখান থেকে স্পেসশিপ উড্ডয়ন করা হয়, সেখানে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। সারাদিন তারা সেখানে অবস্থান করে। তারপর তারা নাসার স্পেস মিউজিয়ামে ঘুরে দেখে। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাংলাদেশের বিভিন্ন এম্বাসি এবং এনআরবি গ্লোবালের পক্ষ থেকে তাদেরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটি তাদেরকে সংবর্ধনা দিয়েছে। একটা স্পেশাল সংবর্ধনা আছে এনআরবি গ্লোবলের পক্ষ থেকে। ৮ তারিখে ওয়াশিংটনের কিছুই ইউনিভার্সিটি তাদেরকে সংবর্ধনা দেয়ার আয়োজন করে। এরপর তারা বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস নিউইয়র্কে এবং অ্যাম্বাসেডরদের সাথে বিভিন্ন বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। তারা বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে যায় এবং দেশের জন্য তারা কি করতে পারে সেগুলো নিয়ে বিভিন্ন বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও বেশ কিছু প্রফেশনাল এবং ইনস্টিটিউশনের সঙ্গে তারা মিটিং করে।
বিজয়ী দলের প্রজেক্ট ‘Diamond In The Si’ একটি ইন্টারেক্টিভ গেম ভিত্তিক স্পেস লার্নিং সিস্টেম, যার মাধ্যমে বাচ্চারা নক্ষত্রদের পরিবর্তন (রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন), এর পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে। গেমটি খেলার মাধ্যমে বাচ্চারা তাদের নিজস্ব নক্ষত্র তৈরি থেকে শুরু করে নক্ষত্রগুলোর প্যাটার্ন, রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন প্রেডিক্ট করতে পারবে। উদ্দেশ্য ছিল মুলত বাচ্চাদের কে তারার ঝিকিমিকি, রাতের আকাশের ধীরগতি পরিবর্তন এবং কেন ঘটেছিল তা বোঝার সুযোগ দেওয়া। তারা বলেছে-আমাদের বিশ্বাস যে আমাদের অ্যাপটি মানুষকে ছোটবেলা থেকেই মহাকাশের আজানাকে জানাতে এবং অদেখাকে দেখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শিক্ষার্থীদের এ সাফল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাষ্টিবোর্ডের চেয়্যারম্যান ড. মোঃ সবুর খান ও উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান টিম দলের সদস্যদের সাফল্যে এবং দেশের জন্য দুর্লভ এ সম্মান বয়ে আনার জন্য অভিনন্দন জানান।