প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া একজন চিকিৎসক, সংগঠক, সুবক্তা ও সব্যসাচী লেখক। সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ। নদীর মতো তাঁর লেখনী নীরবে বয়ে চলে। পাঠকের চিন্তার জগৎকে প্রসারিত করে। আবার তাঁর বক্তৃতা যে কোনো আলোচনা সভার প্রাণশক্তি। যেনো সমুদ্রের গর্জনের মতো।
আমি ২০২০ সালে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের পাক্ষিক বিশেষ আয়োজন ‘চিকিৎসাঙ্গন’ বিভাগ সম্পাদনার দায়িত্ব পাই। যখনই চিকিৎসাঙ্গনের জন্যে তাঁর কাছে লেখা চাই, হাসিমুখে বলেন, ‘পাঠিয়ে দিবো’। তিনি চিকিৎসাঙ্গনের একজন নিয়মিত লেখক। অন্য বিভাগেও তিনি লেখেন।
আমি যখন ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়ার সান্নিধ্য পাই, সে সময় তিনি ট্রান্সপারেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর অনুপ্রেরণায় গঠিত ইয়ূথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস) উপ-কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় টিআইবির একটি সেমিনারে তাঁকে প্রথম দেখি। প্রথম দেখায় আমি তাঁকে গায়ে সবুজ রঙের হাফহাতা ফতোয়া পরিহিত অবস্থায় একদল তরুণের মাঝে মাইক্রোফোন হাতে কথা বলতে দেখি। বহুল তথ্য আর উপমামিশ্রিত সেই বক্তব্য ছিলো শ্রুতিমধুর।
ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া বর্তমানে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) চাঁদপুরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। জড়িত রয়েছেন বহু সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে। সনাকে তাঁর দায়িত্বকালে আমি ইয়েস গ্রুপের দলনেতা নির্বাচিত হই। ফলে খুব কাছ থেকে তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা দেখার সৌভাগ্য হয়। ভালো কাজে তিনি যেমন প্রশংসা করেন, তেমনি এর ব্যত্যয় হলে করেন গঠনমূলক সমালোচনা।
১০ অক্টোবর ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়ার শুভ জন্মদিন। জীবন চলার পথে মাইলফলকে অতিক্রম করেছেন ৫০ বছর। আরো অন্তত ৫০ বছর বেঁচে থেকে তিনি শতায়ু হোন এবং তাঁর কর্মযজ্ঞ হোক পাহাড়সম, সুনামণ্ডযশ-খ্যাতির শিখর চূড়ায় হোক তাঁর অধিষ্ঠান--এ কামনা করি।
আলআমিন হোসাইন : দলনেতা, ইয়েস; বিভাগীয় সম্পাদক, চিকিৎসাঙ্গন, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ।