প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
কী লিখবো, কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছি না। এমন একজন মানুষ সম্বন্ধে লিখছি, তাঁর সম্পর্কে লেখার মতো পুরো সাহস আমার নেই। সে সর্বোপরি এমন একজন ভালো মানুষ, ভালো ডাক্তার, বিখ্যাত ছড়াকার। যখন তখন যেকোনো কিছু নিয়ে তাৎক্ষণিক ছড়া লিখে দেন, শুধু লিখে দেন না, অনেক সময় বাঁধিয়ে দেন। রোটারী ক্লাব, ইনার হুইল ক্লাবে কোনো অতিথি আসলেই আবদার--‘দাদা একটা ছড়া লিখে দিতে হবে’। আমার ২৪ বছরের চাঁদপুরে বসবাসের জীবনে এমন মানুষ দেখিনি।
বলছি তাঁর ডাক্তারী পেশার কথা। আমার কাছে যে কোনো রোগী পুরুষ হোক কিংবা মহিলা বা শিশু হোক আমি এই ডাক্তারের কাছে যেতে বলি। আমার কেন যেনো মনে হয় দাদার কাছে গেলে সব রোগী ভালো হয়ে যাবে। সে যেন সব রোগের ডাক্তার। সে ভীষণ আন্তরিক মানুষ। একবার আমার ছেলে ভীষণ অসুস্থ। যখন শুনলো ওর অবস্থা খুবই খারাপ, তখন সে দৌড়ে কষ্ট করে আমাদের চার তলা বাসায় এসে পড়ে ওকে দেখতে। পাঠক বলতে পারেন, এতো আন্তরিকতার মানুষটি কে? সে আর কেউ নয়, সে হলো আমাদের প্রাণপ্রিয় দাদা ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া। আসলে চাঁদপুরে আমাদের অতো আপন কেউ নেই। দাদাকে কেন যেন অনেক আপন বলে মনে হয়। মনে হয় সে যেন আমাদের আত্মার আত্মীয়। পাঠক আমাদের এই ডাক্তার কিন্তু কেবল টাকার পিছনে ছোটে না। সে যদি টাকার পিছে ছুটতো, তাহলে এতো কিছু কাজ সে করতে পারতো না।
তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করছেন, অনুষ্ঠান দেখছেন, হঠাৎ আবার কোথায় যাচ্ছেন। ‘কোথায় যাচ্ছেন দাদা’? বলেন, ফাঁকে একটু রোগী দেখে আসি। আবার অনুষ্ঠানে চলে আসছেন।
মানুষ মানুষের জন্যে জীবন জীবনের জন্যে--এ কথা দাদার বেলায় প্রযোজ্য। কতখানি রুচিবান মানুষ হলে, একজন ব্যস্ত মানুষ এতো কাজের ফাঁকে, প্রতিটি অনুষ্ঠানে পুরো ফ্যামিলি নিয়ে যান পোশাক ম্যাচিং করে। এটি শুধু দাদার বেলায় সম্ভব। সেজন্যে বলি--'কী গো দাদা। আপনি এতো সময় পান কোথা থেকে? তবে হ্যাঁ যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। একদিকে ম্যাচিং, অন্যদিকে চিকিৎসা, অন্যদিকে সুন্দর উপস্থাপনা। কনসেন দেহি দাদা, চাঁদপুর শহরে এতো সুন্দর উচ্চারণ, শুদ্ধ ভাষায় সাবলীল উপস্থাপনা করা, আবার ছড়া লিখতে সময় এবং মন বসানো--কী করে করেন এতো কিছু! এতো কিছু করে মানুষ ঘরে সময় দিতে পারে না। আপনার প্রতি আমার অনেক অনেক শ্রদ্ধা এজন্যে যে, আপনি আপনার পরিবারকে নিয়ে সবকিছু করছেন। আপনার মতো স্বামী, আপনার মতো বাবা পেয়ে যেমনি আপনার পরিবার ধন্য, তেমনি আপনার মতো ডাক্তার, বিখ্যাত ছড়াকার, আপনার মতো ভালো বন্ধু, মানুষ, ভালো দাদা পেয়ে আমরা ধন্য।
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা : আপনার এই ভালো কাজগুলোর ফল যেন আপনার ছেলেদের এবং ভাবীর উপরে এসে তাদের জীবন উন্নত হয়। আপনারা সবাই সুন্দর ও ভালো থাকুন। আপনার ৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ লেখা। আপনি অনেক অনেক দিন আমাদের মাঝে বেঁচে থাকুন।
লেখক : মাহমুদা খানম, অধ্যক্ষ, রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেন, চাঁদপুর; পাঁচ বারের সভাপতি, চাঁদপুর সেন্ট্রাল ইনার হুইল ক্লাব; চার্টার ভাইস প্রেসিডেন্ট, চাঁদপুর হিলশা সিটি রোটারী ক্লাব।