প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
‘জীবন হোক কর্মময়, নিরন্তর ছুটে চলা। চিরকাল বিশ্রাম নেয়ার জন্য তো কবর পড়েই আছে’ উক্তিটি যাঁর বেলায় খুব বেশি প্রযোজ্য, সেই মানুষটির ৫০তম জন্মবার্ষিকী পালিত হবে শুনেই ভালো লাগছে। সে আর কেউ নয়, চাঁদপুরকে, চাঁদপুরের মানুষকে নিয়ে ছুটে চলা একজন গুণী মানুষ। মানুষটির নাম পীযূষ কান্তি বডুয়া। কর্ম তাঁকে মহান করেছে। আর তাই প্রথমেই তাঁর জন্যে শুভ কামনা।
প্রত্যেকটি শুভ কাজের সাথে, খবরের সাথে যোগাযোগটা তাঁর আত্মিক। আমি মুক্তাকে প্রায় জিজ্ঞেস করি, কিরে দাদা ঘুমায় কখন? ও বলে, বেশির ভাগ সোফাতে। খুব সহজেই বুঝতে পারি কোথা থেকে কীভাবে এতো কর্মযজ্ঞ চলে। পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যের ধৈর্যশক্তির জন্যে আমার শুভ কামনা জানাই। পরিবারের প্রধান কর্তাটি যখন এভাবে জীবনযাপন করে তখন অন্যদের কত পরিমাণ ধকল সইতে হয় সেটা সংসারি আমরা বুঝতে পারি খুব সহজে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন তিনি। দেশের শুধু স্বাস্থ্য খাতেই সেবা দেন, তা-ই নয়। সংস্কৃতি অঙ্গনে দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে চলেন পীযূষ কান্তি বড়ুয়া। তাঁর রত্নগর্ভা মা পাখি রানি বড়ুয়া পিতা সুরেশ চন্দ্র বড়ুয়া নমস্য। দূর থেকে তাঁদের আশীর্বাদ থাকে ছেলের জন্যে।
দেশের জন্যে দেশের মানুষের জন্যে তিনি নিবেদিত। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ, সচেতন নাগরিক কমিটি, চরিত্র গঠন আন্দোলন, জেলা ব্র্যান্ডিং প্রকাশনা, চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন, চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে তিনি সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত।
তিনি সব ধরনের লেখায় সিদ্ধহস্ত। তিনি গবেষণায় নিজেকে নিমগ্ন রাখেন। তাঁরই অন্যতম নিদর্শন কবিয়াল ও কবিগান। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আছে গবেষণাপত্র। আমাদের প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে অজস্র লিখা তাঁর। চাঁদপুরের ইলিশের সাথে তাঁর অনেক সখ্যতা।
তাঁর গবেষণার কাজ অব্যাহত থাকুক। বেশি বেশি ছড়া উঠে আসুক কলমে। চাঁদপুর তথা বাংলাদেশের মানুষ সংস্কৃতি সভ্যতায় নিজেকে জড়িয়ে রাখুক আরও বহুকাল। পথপ্রদর্শক মানুষগুলো এভাবেই পথ তৈরি করে যান। পীযূষ দার জন্যে শুভ কামনা রইলো। ৫০তম জন্মবার্ষিকী হয়ে উঠুক আনন্দময়। বারবার ফিরে আসুক শুভ জন্মদিন।
তৃপ্তি সাহা : লাইব্রেরি উন্নয়ন কর্মকর্তা।