শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

সারস্বতে তাঁর যতো দুর্বলতা
এএইচএম আহসান উল্লাহ

ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া নামটি চাঁদপুরের সর্বমহলে ব্যাপক পরিচিত একটি নাম। তবে তাঁর এই নাম, যশ, খ্যাতি চিকিৎসক হিসেবে নয়। সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে তাঁর সক্রিয় বিচরণই সর্বমহলে তাঁর পরিচিতি এবং খ্যাতি এনে দিয়েছে। এটা আমার পর্যবেক্ষণ। তাই বলে তাঁর চিকিৎসা পেশাকে খাটো করছি না বা সেটাকে অবমূল্যায়ন করছি না।

বহু গুণে গুণান্বিত এই মানুষটিকে নিয়ে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। পীযূষ কান্তি বড়ুয়া পেশায় একজন চিকিৎসক। বাসায় ও চেম্বারে রোগী দেখা, এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে, এক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আরেক প্যাথলজিতে, এক চেম্বার থেকে আরেক চেম্বারে দৌড়ে শুধু রোগী দেখা আর নানা টেস্ট দেয়ারই কথা অর্থাৎ শুধু টাকা কামাই করার পেছনেই দৌড়ানোর কথা তাঁর। কিন্তু আমরা কী দেখছি! তার সম্পূর্ণ বিপরীত দেখছি। চারটা ডাল-ভাতের ব্যবস্থা হলেই মনে হয় তিনি তুষ্ট। অতিরিক্ত পয়সা কামানোর ধান্ধা তাঁর মাথায় থাকে না। তিনি যেই প্রেমে আসক্ত চলে যান সেই অঙ্গনে। সারস্বতে তাঁর যতো দুর্বলতা। একটি পরিশীলিত সমাজ বিনির্মাণে সাহিত্য সংস্কৃতি অঙ্গনটাকেই যেনো তিনি তাঁর প্রকৃত ভুবন হিসেবে মনে করেন।

সাহিত্যে তাঁর কী অসাধারণ প্রতিভা! কী গল্প, কী কবিতা, কী প্রবন্ধ, কী ছড়া! কোনোটাতেই তাঁর জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে আমার তত্ত্বাবধানে বের হওয়া চাঁদপুর কণ্ঠের পাক্ষিক আয়োজন সাহিত্য পাতার প্রায় প্রতিটি সংখ্যা পীযূষ কান্তি বড়ুয়ার লেখা দিয়ে হয় সমৃদ্ধ। এ জন্যে তাঁর কাছে চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবার তো বটেই, ব্যক্তিগতভাবে আমিও ঋণী। শুধু সাহিত্য কর্মই নয়, বিতর্ক অঙ্গনেও যদি খুঁজি, সেখানেও ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়ার সম্মানজনক বিচরণ। যিনি চাঁদপুরে বিতর্কের গুরু হিসেবে স্বীকৃত। চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমির অধ্যক্ষ তিনি। বিতর্কের উপর তাঁর এমন অসাধারণ দক্ষতায় বিতার্কিক এবং বিতর্কপ্রেমীরা তাঁকে বিতর্কের গুরুর আসনে বসিয়েছেন। চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশনের তিনি একজন প্রাণপুরুষ। এই সিকেডিএফ তথা চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন গঠনের ক্ষেত্রে তাঁর উৎসাহ এবং অসামান্য অবদান অনস্বীকার্য। তাই তাঁর বিষয়ে আমার এক কথায় মূল্যায়ন হচ্ছে, ‘সব্যসাচী’ বিশেষণটি তাঁর ক্ষেত্রেই মানায়। এই গুণী মানুষটার কাছে আমরা ঋণী। তাঁর পঞ্চাশতম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সকলের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি। মহান স্রষ্টা তাঁর সহায় হোন।

লেখক : সভাপতি, চাঁদপুর প্রেসক্লাব; বার্তা সম্পাদক, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়