মালেরহাট যুব সংঘের উদ্যোগে ও ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহা-২০২১ উপলক্ষে হাইমচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ২১শ’ দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারের মাঝে ৬০টি গরু কোরবানি করে ২ কেজি করে মাংস বিতরণ করা হয়েছে।

গত ২২ জুলাই সকালে হাইমচর উপজেলার ৫টি স্থান (চরকোড়ালিয়া মালেরকান্দি, হাইমচর সরকারি কলেজের মাঠ, নীলকমল মাঝির বাজার ও ঈষাণবালা এবং চরভৈরবী আমতলী ঘাট) থেকে এই মাংস বিতরণ করা হয়। গরুগুলি জবাই করে মাংস প্রস্তুতকরণ, ওজন করে প্যাকেট করা এবং বিভিন্ন বিতরণ কেন্দ্রে পৌঁছানো হয় হাইমচর ইউনিয়নের চরকোড়ালিয়া মালেরকান্দি গ্রাম থেকে।

বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি, উপজেলা পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধি, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মালের হাট যুব সংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। মালের হাট যুব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ রফিকুল ইসলাম ও হাইমচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সাহাদাৎ হোসেন সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারগুলি ২ কেজি মাংস পেয়ে অত্যন্ত খুশি ও আনন্দিত।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংন্থা ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালে ইংল্যাল্ডের বার্মিংহামে কার্যক্রম শুরু করে। সংস্থাটি বাংলাদেশসহ বর্তমানে বিশ্বের ৪৫টি দেশে কাজ করছে। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তার মাধ্যমে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে।

ইসলামিক রিলিফের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মধ্যে দরিদ্র্যপীড়িত মানুষের মধ্যে কোরবানির মাংস বিতরণ করা একটি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম। ২০১০ সাল থেকে (প্রায় ১২ বছর) মালেরহাট যুব সংঘের মাধ্যমে হাইমচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। হাইমচর উপজেলাটি বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার মধ্যে একটি। প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ নিতান্তই কম তথাপিও যে পরিবারগুলি ঈদের সময় ২ কেজি মাংস পায় তাদের জন্য তা খুবই উপকারী। অনুষ্ঠানে উপন্থিত সকল অতিথিই ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশকে এ দারিদ্র্যপীড়িত এলাকার জন্য আগামীতে বরাদ্দের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানায়।