প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২১, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ উপজেলায় অনাথ দাস (৫৭) নামে এক ব্যক্তির গলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত অনাথ দাসের ছেলে সুভাষ দাস বাদী হয়ে রোববার (২৫ জুলাই) রাতে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় পুলিশ শ্রীকৃষ্ণ দাস (৫৫) নামে একজনকে আটক করেছে।
জানা গেছে, পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের খুরুমখালী গ্রামের জেলে পল্লীর জেলে অনাথ দাস গত এক সপ্তাহ পুর্বে সোমবার (১৯ জুলাই) বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। এরপর গত রোববার (২৫ জুলাই) দুপুরে ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রামের ডাকাতিয়া নদীর খাল পাড় থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় নিহত অনাথ দাসের ছেলে সুভাষ দাস বাদী হয়ে তার পিতাকে হত্যার অভিযোগ করে মামলা দায়ের করে। মামলায় অজ্ঞাত আসামীদের দ্বারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটলেও বাদী তার লিখিত অভিযোগে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে একই বাড়ির সুবল দাসসহ ৬ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে। মামলার আলোকে থানা পুলিশ রোববার গভীর রাতে মামলার ৫ম সন্দেহভাজন আসামী শ্রীকৃষ্ণ দাসকে আটক করে। পরে সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
যদিও আটককৃত শ্রীকৃষ্ণ দাসের পরিবারের সদস্যরা জানায়, এই ঘটনার সাথে শ্রীকৃষ্ণ জড়িত নন। প্রকৃত তদন্ত করলে তা বের হবে। এটা হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ দিকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পিবিআই চাঁদপুরের একটি টিম ছায়া তদন্তে নেমেছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদ হোসেন হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের একজন শ্রীকৃষ্ণকে আটক করেছি। মামলাটি তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (২৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রামের একটি খাল পাড় থেকে অনাথ দাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তি একই ইউনিয়নের খুরুমখালী গ্রামের প্রয়াত গোপাল চন্দ্র দাসের ছেলে। পেশায় সে জেলে অনাথ দাস তিন সন্তানের জনক।