প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
হাজীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনে দফায় দফায় ধাওয়া
হাজীগঞ্জে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধকালে দফায় দফায় ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা ১টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দে, অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদসহ ছাত্রলীগ অংশ নেয়। এতে করে প্রায় এক ঘণ্টা চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক, হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ-কচুয়া সড়কের হাজীগঞ্জ বাজারে যান চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে কোনো রক্তপাতের খবর পাওয়া যায় নি।
সরজমিনে দেখা যায়, এদিন বেলা ১২টার দিকে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ চৌরাস্তা বিশ্বরোড এলাকায় অবরোধে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর আগে চারদিক থেকে শিক্ষার্থীরা এসে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ বালুর মাঠে জড়ো হয়। এর পরেই সবাই একত্রিত হলে পুলিশ প্রহরায় মিছিল নিয়ে পশ্চিম চৌরাস্তা বিশ্বরোড এলাকায় জড়ো হয়ে সড়কে বসে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। কার্যত এ সময় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক, হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ-কচুয়া সড়কের হাজীগঞ্জ বাজারে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপস শীলসহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দে আন্দোলনকারীদের বারবার বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এভাবে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
বেলা ১টার দিকে পশ্চিম দিক থেকে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাব্বির নেতৃত্বে একটি মিছিল থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ সড়কে অবস্থানকারীদের ধাওয়া দিলে অন্দোলনকারীরা হাজীগঞ্জ বাজারে ঢুকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এরপর হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী পরিচয়দানকারী মাইশাসহ ১০/১২ জনের একটি দল বড় মসজিদের সামনে অবস্থান নেয়। এরপরেই নারী শিক্ষার্থীর দলটি একটি মিছিল নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ করে। পরে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের ব্রিজে সড়ক অবরোধ দেয় ৮/১০ জনের একটি দল। এর ১০ মিনিট পরেই পুলিশ ও ছাত্রলীগ এক হয়ে ধাওয়া দিলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আন্দোলনকারীরা ফের হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারের বড় পুলের গোড়ায় অবরোধে বসলে সেখানে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ধাওয়া খেলে ডাকঘর সড়ক ধরে পালিয়ে যায়। এভাবে ধাওয়ার পর ধাওয়ার ঘটনা চলে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এর পরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপস শীল জানান, এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয় নি। কোনো আহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ধাওয়ার পর ধাওয়ার ঘটনা চলাকালে হাজীগঞ্জ বাজারে অবস্থান করেন হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আশফাকুল আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মাঈনুদ্দিন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন জীবন প্রমুখ।