শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

সংসদ সদস্য প্রার্থীদের চোখে ফরিদগঞ্জ-৪

নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ এবং শক্তিশালী না হলে জনগণ ভোট দিতে যাবে না

-----------আবদুল গণি

অনলাইন ডেস্ক
নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ এবং শক্তিশালী না হলে জনগণ ভোট দিতে যাবে না

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে দলগুলো অংশগ্রহণ করছে, ইতোমধ্যে তারা তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক পাওয়ার পর সব প্রার্থী মাঠে জোর প্রচারণা চালিয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন আবদুল গণি। তিনি ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চাঁদপুর জেলা সভাপতি। ছাত্রজীবনে তিনি জাসদ করতেন। এক সময় ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

আগামী ৫ বছর ফরিদগঞ্জকে নিয়ে কী পরিকল্পনা করছেন এবং জাতীয় সংসদে গিয়ে কী ভূমিকা পালন করবেন তা জানালেন দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের পাঠকদেরকে। চাঁদপুর কণ্ঠের ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম ফরহাদের মুখোমুখি হয়েছেন আবদুল গণি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?

আবদুল গণি : আলহামদুলিল্লাহ, ভালো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি কি মনে করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আপনি বিজয়ী হবেন?

আবদুল গণি : আমি আশাবাদী।

চাঁদপুর কণ্ঠ : জনগণ কেন আপনাকে ভোট দিবে?

আবদুল গণি : জনগণ একজন সৎ মানুষ চাচ্ছে। আমি একজন সৎ মানুষ। আমি অবৈধ পয়সাকে হারাম মনে করি। একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে মানুষ আমাকে ভোট দিবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : ফরিদগঞ্জে আপনার দলের সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রম নেই। এমনকি কোনো কমিটিও নেই। এ অবস্থায় আপনি নির্বাচন করবেন কীভাবে?

আবদুল গণি : আমি ইতোমধ্যে বেশ ক'টি ইউনিয়ন এবং ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় কিছু লোক দিয়েছি। তারা আমার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা করছেন। তাদের অভিমত, জনগণ একজন ভালো মানুষ হিসেবে আমার পক্ষে কথা বলছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : স্বাধীনতার ৫২ বছর পর বাংলাদেশের রাজনীতির গুণগত মান কতটুকু পরিবর্তন হয়েছে?

আবদুল গণি : আমি নিজে মুক্তিযুদ্ধের একজন প্রত্যক্ষদর্শী। যেই চিন্তা-চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো তার সুফল গণমানুষ শতভাগ ভোগ করতে পারছে না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, রাজনীতির গুণগত মান ৫২ বছর পর যতটুকু পরিবর্তন হওয়ার কথা ততটুকু হয়নি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : রাজনীতিতে এখন আর ভালো মানুষরা আসতে চায় না কেন?

আবদুল গণি : আপনি প্রায় সময়ই শুনে থাকবেন, বড় বড় রাজনীতিবিদরা বলে থাকেন ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই'। এই কথার মানে কী? মানে হলো, তারা সাধারণ মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন না বা সেটা ভুলে যান, বা সে কথা আর রাখেন না। এ কারণে রাজনীতিবিদদের প্রতি সাধারণ মানুষ আর আস্থা রাখতে পারছেন না। ভোটের সময় কতো কথাই দেন। কিন্তু সেটা আর রক্ষা করেন না।

চাঁদপুর কণ্ঠ : বাংলাদেশের নির্বাচনের একটি স্থায়ী ব্যবস্থা দরকার আছে বলে কি আপনি মনে করেন?

আবদুল গণি : অবশ্যই একটা স্থায়ী ব্যবস্থা দরকার আছে। দরকার আছে এ কারণে যে, জনগণ এটা চাচ্ছে। সাধারণ মানুষ, শিক্ষিত মানুষ যেটা চাচ্ছে সেটাই হওয়া উচিত। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনা যেতে পারে। নিরপেক্ষ সরকার হলে পরে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে, অন্যথায় আপনি সাধারণ মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নিতে পারবেন না।

চাঁদপুর কণ্ঠ : বাংলাদেশের গণতন্ত্র পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ রাজনীতিবিদদের রাজনীতি চর্চার অভাব। আপনি কি তা মনে করেন?

আবদুল গণি : রাজনীতি চর্চা আছে কিন্তু এই চর্চার ভেতরে নিজেদের দলীয় প্রভাব খাটায় বলে চর্চায় ব্যাঘাত ঘটে। রাজনীতিবিদরা সৎ না হলে গুণগত মান পরিবর্তন হবে না। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে না পারলে চর্চার সুফল পাওয়া যাবে না।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি কি ক্ষমতার জন্যে নাকি জনগণের জন্যে রাজনীতি করেন?

আবদুল গণি : অবশ্যই জনগণের জন্যে রাজনীতি করি। ক্ষমতা দিয়ে কী হবে?

চাঁদপুর কণ্ঠ : শিল্প উন্নয়ন বলতে ফরিদগঞ্জে তেমন কিছুই নেই। আপনি বিজয়ী হলে শিল্প উন্নয়নে কাজ করার পরিকল্পনা আছে কিনা?

আবদুল গণি : হ্যাঁ, ইনশাআল্লাহ, অবশ্যই। ফরিদগঞ্জে মিল-কারখানা ও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান বলতে কিছুই নেই। চাঁদপুর জেলার মধ্যে ফরিদগঞ্জে সম্পদশালী লোক বেশি। তারা ইচ্ছা করলে এক একজনে তিন চারটা করে মিল-ফ্যাক্টরি করতে পারেন। কিন্তু কেউ করে না। যদি করতো তাহালে উপজেলার অনেক বেকারের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হতো। এখানে যাতায়াতের ব্যবস্থা ভালো, একটা গার্মেন্টস্ও হতে পারতো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : ভৌগোলিক দিক থেকে ফরিদগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখানে রেল যোগাযোগ নেই। নেই গ্যাস। যা শিল্পোন্নয়নের পূর্বশর্ত। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন?

আবদুল গণি : যেই সরকারে আসুক তাদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন থাকবে, যাতে ফরিদগঞ্জে রেল এবং গ্যাসের ব্যবস্থা করে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সমাজে এ কথা প্রচলিত আছে, জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের পর জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভুলে যায়, এ কথা কতটুকু সত্য?

আবদুল গণি : এ কথা আমি আগেই বলেছি। রাজনীতিবিদরা ভোটের সময় এসে যে নানান প্রতিশ্রুতি দেন, নির্বাচিত হলে পরে সে ওয়াদা আর রাখেন না।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সময় দেওয়ার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।

আবদুল গণি : আপনাকেও ধন্যবাদ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়