শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে ত্রিমুখী লড়াই

প্রবীর চক্রবর্তী ॥
ফরিদগঞ্জে ত্রিমুখী লড়াই

জমে উঠেছে বৃহৎ জনসংখ্যা অধ্যুষিত উপজেলা ফরিদগঞ্জ উপজেলার নির্বাচনী লড়াই। চাঁদপুর-৪ সংসদীয় আসন ফরিদগঞ্জ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্পভুক্ত সিআইপি বাঁধের অভ্যন্তরে ও বাইরে ছড়ানো। এই উপজেলা মাছ উৎপাদনে দেশের শীর্ষ চারে যেমন অবস্থান করছে, তেমনি ধান উৎপাদনেও ভালো ভূমিকা রাখছে। আবার রাজনীতিতেও রয়েছে উপজেলার রাজনীতিবিদদের সরব অবস্থান। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠেও একই অবস্থা বজায় রয়েছে।

এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ মোট প্রার্থী সংখ্যা ৮ জন। এঁরা হলেন : আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমান (প্রতীক নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া (প্রতীক ঈগল), স্বতন্ত্র প্রার্থী সিআইপি জালাল আহমেদ (প্রতীক ট্রাক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজ্জাদ রশিদ (প্রতীক লাঙ্গল), বিএনএম প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শাহজাহান (প্রতীক নোঙ্গর), তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী আব্দুল কাদের তালুকদার (প্রতীক সোনালি আঁশ), তরিকত ফেডারেশন প্রার্থী বাকী বিল্লাহ মিশকাত (প্রতীক ফুলের মালা) ও এনপিপি প্রার্থী আব্দুল গণি (প্রতীক আম)।

সর্বশেষ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৯ হাজার ১২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯২ হাজার ৭৬০ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৬৮ জন। এর মধ্যে রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের নারী ভোটাররা গত প্রায় অর্ধশতাব্দি ধরে ভোট প্রদান করেন না বললেই চলে। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের ভোটার সংখ্যা থেকে ভোটার বেড়েছে ৫৯ হাজার ৩৬০ জন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বড় ধরনের লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছে দুই হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী। অন্যদিকে কিংস পার্টি খ্যাত বিএনএম মহাসচিব তার নিজের আসনে খেলা দেখাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সরেজমিন ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে দেখা গেছে, বিএনপি নির্বাচনে না থাকায় সাধারণ ভোটাররা মাঠে থাকা মূল প্রার্থীদের নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। বিগত দিনে দলের প্রতি, এলাকার উন্নয়নে কার কী ভূমিকা রয়েছে তা নিয়ে চলছে চায়ের টেবিলে ঝড়। পাশাপাশি গত দুই নির্বাচনে ভোট দিতে না পারায় এবার ভোট দিতে পারবেন কিনা, তাও জানতে চাইছেন অনেকে।

বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের মূলধারার লোকজনের প্রায় অধিকাংশই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার প্রতি ঝুঁকে রয়েছেন। তার জন্যে কাজ করে চলেছেন।

বিপরীত দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে রয়েছেন নৌকার প্রশ্নে আপসহীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী এবং সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান ও তাঁর অনুসারীরা।

অপর প্রার্থী সিআইপি জালাল আহমেদের পক্ষেও রয়েছে নেতা-কর্মীরা। তাঁর দীর্ঘদিনের দান-অনুদানের কারণে উপজেলাজুড়েই একটি বড় ভোটব্যাংক সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নৌকার সাথে ঈগল ও ট্রাক প্রতীকের ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস মিলছে নির্বাচনী মাঠে।

এদিকে নির্বাচনী প্রচারণায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীর তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকা নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে মাঠে ভালোভাবেই রয়েছেন বিএনএম প্রার্থী ও দলের মহাসচিব ড. মোহাম্মদ শাহজাহান। তাঁর বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ বিরোধীরা তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়