বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা ! ভোটের নাটকে পার পেলেন ইউপি চেয়ারম্যান
প্রবীর চক্রবর্তী ॥

কথায় আছে, বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মুখর হয়ে ওঠেন ইউপি সদস্যরা। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তুলে ধরেন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। সে ধারাবাহিকতায় বিক্ষুব্ধ ইউপি সদস্যদের ৯জন সম্মিলিতভাবে একত্রিত হয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা জানিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত রিট গ্রহণ করে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। সে অনুযায়ী ১৯ জুলাই বুধবার বিকেলে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ইউপি সদস্যরা গোপনে ভোট দেয়। আদালতে রিটকারী ৯জন সদস্যদের মধ্যে দুজন সদস্য চেয়ারম্যানের পক্ষে ভোট প্রদান করায় পার পেয়ে যান ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপন। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জের ১৪নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের। এতো হাঁকডাক দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনলেও গোপন ভোটের সময় দৃশ্য পাল্টে যাওয়ায় অনেকেই আশ্চর্য হয়ে যান। পরসমাপ্তি ঘটে ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নাটকের মঞ্চায়ন।

জানা গেছে, হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালনে ১৯ জুলাই বুধবার ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহারের উপস্থিতিতে প্রথমে সমঝোতা চেষ্টা হয়। পরে উপস্থিত ইউপি সদস্যদের দাবির প্রেক্ষিতে গোপন ভোটে অনাস্থার বিষয়টি নির্ধারিত হয়। ভোটে ৭-৫ ভোটে চেয়ারম্যান পরাজিত হলেও ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী কমপক্ষে ৯জন সদস্যের অনাস্থা জানাতে হবে। যদিও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওই ইউপির ৯জন ইউপি সদস্য সরকারি বরাদ্দের টাকা নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনাসহ হাইকোর্টে রিট করেন।

গত ২৯ মে মহামান্য হাইকোর্টে দায়েরকৃত রিট পিটিশন অনুযায়ী বিচারপতি মিসেস ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের আদালত এই আবেদন গ্রহণপূর্বক ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নিদের্শনা প্রদান করেন।

ইউপি সচিব মোঃ আমির হোসেন জানান, ভোটাভোটিতে অনাস্থার পক্ষে ৭জন ও অনাস্থার বিপক্ষে ৫জন সদস্য ভোট প্রয়োগ করেন। ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা নীতিমালা অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার জন্য ৯ ভোটের প্রয়োজন। চেয়ারম্যানের বিপক্ষে পর্যাপ্ত ভোট না হওয়ার তিনি স্বপদে বহাল থাকবেন।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুনন্নাহার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুসারে বুধবার বিকেলে আমরা চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নিয়ে বসেছি। প্রথমে সমঝোতা এবং পরে ভোটের মাধ্যমে অনাস্থার বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়