প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
কচুয়া উপজেলার ৬নং কচুয়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে ইউনুছ (মোরগ প্রতীকে) বিজয়ী হয়েছেন। ১৭ জুলাই সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তেতৈয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাধারণ সদস্য পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
৪নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যার ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৬শ’ ৬৫ জন। তন্মধ্যে ১ হাজার ৬শ’ ৪৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কেএম সোহেল রানা জানান, ইউনুছ (মোরগ প্রতীক) ৬শ’ ২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হানিফ মজুমদার (তালা প্রতীক) পেয়েছেন ৫শ’ ৮৯ ভোট। তাছাড়া আবুল হোসেন খান (টিউবওয়েল প্রতীক) ২শ’ ৭৭, মোঃ জামাল হোসেন (ফুটবল প্রতীক) ১শ’ ১১, মোঃ শফিকুল ইসলাম (বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক) ৯, ফজলুর রহমান (ঘুড়ি প্রতীক) ৫ ভোট পেয়েছেন। বাতিল ভোট সংখ্যা ২৫।
অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন গ্রহণের লক্ষ্যে সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল হাসান। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী আবু বকর সিদ্দিক ও প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কেএম সোহেল রানা। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করেন কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইব্রাহীম খলিল ও পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে পুলিশের সদস্যবৃন্দ, আনসার ও গ্রামপুলিশ।
ফলাফল ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বিজয়ী প্রার্থী ইউনুছ বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের ফলে আজ আমি বিজয়ী হয়েছি। এই বিজয় আমার একার নয়, এ বিজয় ৪নং ওয়ার্ডের জনগণের। আমি এই ওয়ার্ডের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়ায় আমি উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সাংবাদিকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি ইউপি চেয়ারম্যান এম. আখতার হোসাইনের নেতৃত্বে আমার ৪নং ওয়ার্ডকে আধুনিক ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করতে চাই। আমি চাই, এই ওয়ার্ডে কোনো অন্যায়, অনিয়ম ও মাদকের ছোবল না থাকুক।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ইউপি সদস্য জসিম উদ্দীন মজুমদার। তার মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।