বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

এক সড়কের দুর্দশার শিকার তিন উপজেলাবাসী
প্রবীর চক্রবর্তী ॥

তিনটি উপজেলার জনসাধারণের চলাচলের অন্যতম সড়ক এটি। কিন্তু পাকা হওয়া অংশের সংস্কার এবং কাঁচা থাকা অংশ নতুন করে পাকা না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ। শুষ্ক মৌসুমে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। হাইমচর, ফরিদগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলাকে সংযোগকারী সড়কের একাংশ এটি। উপজেলা প্রকৌশলী সড়কটিতে দুর্ভোগের বিষয় স্বীকার করে দ্রুত পাকা অংশ মেরামত ও কাঁচা অংশ ব্যবহার উপযোগী করার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

জানা গেছে, হাইমচর উপজেলার হাওলাদার বাজার থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের বিরামপুর বাজার হয়ে পার্শ^বর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কটি। ইতিমধ্যেই সড়কটির হাওলাদার বাজার হয়ে বিরামপুর বাজার পর্যন্ত সড়কের অনেকাংশে পুনসংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু বিরামপুর বাজার থেকে রায়পুর উপজেলার বর্ডার পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার অংশের দুরবস্থা চরমে। এর মধ্যে দেড় কিলোমিটার এলজিইডি পাকাকরণ করলেও অপর এক কিলোমিটার এখনো কাঁচা অবস্থায় রয়েছে।

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সুমন আহমেদ সড়কটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জানান, আমরা যারা রাজনীতি করি এবং সমাজসেবা করি, তারা সড়কটি নিয়ে প্রতিনিয়ত কথা শুনি জনগণের। আশা করছি কর্র্তৃপক্ষ দ্রুতই একটি সুখবর দিবেন আমাদের।

সড়কটি নিয়মিত ব্যবহারকারী চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের মোঃ মনু মিয়া শেখ, মোঃ বিল্লাল চৌকিদার, মোঃ সেলিম বেপারী জানান, ফরিদগঞ্জ উপজেলার মানুষ ছাড়াও রায়পুর ও হাইমচর দুই উপজেলায় যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। সড়কের আড়াই কিলোমিটার তথা বিরামপুর বাজার থেকে রায়পুর বর্ডারের মধ্যে দেড় কিলোমিটার বিগত ২০১৬ সালে এলজিইডির মাধ্যমে কার্পেটিং করা হয়। কিন্তু কয়েক বছর না যেতেই চলছে রাস্তার বেহাল দশা। সংস্কারের অভাবে আরো খারাপ অবস্থা হয়ে এখন পায়ে চলাচলের অনুপযোগী। প্রতিদিন দুই/তিনটা দুর্ঘটনা ঘটে। কখনো অটো উল্টিয়ে ধান ক্ষেতে আবার মোটরসাইকেল নিয়ে ধান ক্ষেতে পড়ে আহত হচ্ছেন আরোহীরা।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পিরোজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান বলেন, আমার ইউনিয়নটি উপজেলা সদর থেকে অনেক দূরে। এই এলাকার লোকজনের জন্যে পাশর্^বর্তী রায়পুর এবং হাইমচর উপজেলা নিকটবর্তী। তিনটি উপজেলার লোকজন সড়কটি নিয়মিত ব্যবহার করে। আমি ইতিমধ্যেই সড়কটি সংস্কার করে নূতন করে নির্মাণের জন্যে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় প্রকৌশল বিভাগকে অনুরোধ করেছি।

উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহাম্মদ বলেন, সড়কটি বিষয়ে আমি জেনেছি। ইতিপূর্বে কার্পেটিং হওয়া অংশ দ্রুত পুনঃসংস্কার এবং কাঁচা অংশ কার্পেটিং করার ব্যাপারে অনুমোদনের জন্যে কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়