প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
আমি উৎপল সাহা, সাধারণ সম্পাদক, শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়া (কেন্দ্রীয় মন্দির), ফরিদগঞ্জ সদর, চাঁদপুর। গত ০৭/০৭/২০২৩খ্রিঃ তারিখের দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত ফরিদগঞ্জ শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়ার সাধারণ সম্পাদকের অনাস্থার প্রস্তাব বিষয়ে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি আমার দৃষ্টি গোচরে এসেছে। যা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র পরিপন্থী, সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও কল্পনা প্রসূত। আমি উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
প্রকৃত ঘটনা : গত ২১/০৫/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে শ্রীশ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়ার দৈনিক চাঁদাধারী সদস্য ও যুব কমিটির ৫১ জন সদস্য লিখিতভাবে সভাপতি ডাঃ পরেশ চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে এক অভিযোগ আমার নিকট দায়ের করলে আমি গত ২৩/০৫/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে উক্ত অভিযোগের বিষয়ে চাঁদপুর জেলা জজ কোর্টের অ্যাডঃ বিধু ভুষণ নাথ পলাশের লিখিত আইনগত মতামত আনি এবং গত ২৫/০৫/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়ার সম্মানিত উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যগণকে ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ, চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সম্পাদক মহোদয়কে লিখিতভাবে জানাই। দৈনিক চাঁদাধারী সদস্য ও যুব কমিটির সদস্যদের লিখিত অভিযোগটি ছিলো আখড়ার গঠনতন্ত্রের ৯ম পরিচ্ছদের ১৮ ধারার ১১ উপধারা মোতাবেক শ্রীশ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়ার সভাপতি ও সম্পাদক মণ্ডলীর কোনো সদস্য অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠানের একাধিক পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। সে মোতাবেক ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল দ্বৈতভাবে শ্রীশ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়া ও চাঁদপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের সভাপতি পদে থাকায় ফরিদগঞ্জ শ্রীশ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়ার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল ৯ম পরিচ্ছদের ১৮ ধারার ১১ উপধারা লঙ্ঘন করায় আপনা আপনি শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়ার সভাপতি পদ হতে তিনি বাদ পড়ে যান। গঠনতন্ত্রের ১৪ (খ) ধারা মোতাবেক সহ-সভাপতি দিলিপ কুমার দাস অদ্যাবধি সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
প্রকাশ থাকে যে, গত বৎসর আখড়ার কার্যকরী কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকে সাবেক সভাপতি ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল তার পক্ষে কার্যকরী কমিটির সদস্য বেশি থাকায় তিনি স্বেচ্ছাচারিতার সাথে নিজে মনগড়া আখড়া পরিচালনা করতে থাকেন এবং কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত এক রকমে রেজুলেশনে লিপিবদ্ধ হলে তিনি তা আরেক রকম বাস্তবায়ন করেন। যেমন-সেবায়েত মহাশয়ের বেতন বৃদ্ধি, কালেক্টারের বেতন বৃদ্ধি, আখড়ার কাজের মহিলার বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় এক রকম। সাবেক সভাপতি ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত ব্যতীত নিজ ইচ্ছায় কালেক্টার ও কাজের লোকের বেতন বৃদ্ধি করেন। কিন্তু তিনি কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত অমান্য করে সেবাইত মহাশয়ের বেতন বৃদ্ধি করেন নি। সাবেক সভাপতি ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল বর্তমান সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকগণকে এবং বর্তমান যুব কমিটিকে পাত্তা না দিয়ে একক আধিপত্য বিস্তার করতে আরম্ভ করেন। তার অনুসারী ক্যাশিয়ার উত্তম সরকারের নিকট আখড়ার দৈনিক চাঁদাধারীদের কাছ থেকে আদায়কৃত ২,৫০,০০০/- টাকা ১১মাস যাবৎ নিজ হেফাজতে রেখে তার ব্যবসায় লগ্নি করেন এবং তার অপর অনুসারী সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ দাস আখড়ায় ভক্তদের দেওয়া প্রায় ১০/১২টি স্বর্ণের তুলসিপাতা তার নিজ হেফাজতে রাখেন। যা আখড়ার গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী কাজ। সম্পূর্ণ ঘটনাগুলো সাবেক সভাপতি ডাঃ পরেশ চন্দ্র পালকে আমি বার বার জানিয়ে কোনো প্রতিকার না পেয়ে কার্য নির্বাহী কমিটি ভেঙ্গে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তিনি কোনো কর্ণপাত করেন নি।
জিডি-১৪৬৫/২৩