প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়া কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক উৎপল চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রদান করেছেন কমিটির সদস্যরা। গত ১০ জুন ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ৯জন সদস্য সভাপতি বরাবর লিখিতভাবে এ অনাস্থা প্রস্তাব প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে আখড়ার সভাপতি গত ১১জুন ২০২৩ তারিখে অভিযুক্ত উৎপল চন্দ্র সাহাকে কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদান করেছেন।
আখড়ার জমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া, আখড়ার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংবেদনশীল তথ্য নিয়মবহির্ভূতভাবে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো, সভাপতিসহ কমিটির একাধিক সদস্যের সাথে অশোভন আচরণ করা এবং অশ্লীল ভাষায় হুমকি প্রদান, স্বজনপ্রীতিসহ গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যক্রমের দায়ে গঠনতন্ত্রের ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদের ধারা ১৪ গ(৭), ৯ম পরিচ্ছেদের ধারা ১৮(৩), ১৮(৪), ১৮(৫)-এর আলোকে সদস্যগণ অনাস্থা প্রদান করেন এবং সভাপতিকে অনাস্থা কার্যকরের আহ্বান জানান। অনাস্থা প্রদানকারী সদস্যগণ হলেন ক্যাশিয়ার উত্তম কুমার সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন চন্দ্র দে, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক প্রাণ কৃষ্ণ দাস, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক স্মৃতি চক্রবর্তী, সদস্য দুলাল দেবনাথ, সুজন চন্দ্র দাস, শ্যামল মজুমদার, রতন চন্দ্র দাস ও কমল পাল বিপ্লব।
একই বিষয়ে আখড়ার সভাপতি ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল জানিয়েছেন, অভিযোগকারীদের অভিযোগ সত্য। আমি ইতিমধ্যে সাধারণ সম্পাদক উৎপল চন্দ্র সাহাকে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে কারণ দর্শানোর একাধিক নোটিস পাঠালেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। আমাদের গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমরা বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ করছি। পত্রিকায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিস গ্রহণপূর্বক সন্তোষজনক উত্তর প্রদানে ব্যর্থ হলে তিনি আখড়া কমিটি থেকে অভিসংশিত হয়েছেন বলে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের গঠনতন্ত্র অনুসারে তার কোনো আর্জি আপত্তি কোনো আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক উৎপল চন্দ্র সাহা বলেন, অনাস্থার বিষয়টি আমাদের গঠনতন্ত্রে নেই। এটি একটি অনিয়ম। কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের জন্যে আমি সভাপতিকে অনুরোধ করেছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি না বরং সভাপতি মহোদয় নিজেই গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করেছেন। তিনি একই সাথে দুটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি থাকতে পারেন না। নিয়মের বাইরে গিয়ে তিনিই তার খেয়াল খুশি মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।