বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

কচুয়ায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৩
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

কচুয়ায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শাহীন (২৬), শাহীনুর বেগম (৩০) ও জমির হোসেন (৩৩) নামে ৩ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পালাখাল মডেল ইউনিয়নের দোয়াটি গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ির শাহজাহানের স্ত্রী সুমী আক্তার বাদী হয়ে কচুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দোয়াটি গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ি সংলগ্ন ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার ফজলুল হকের ছেলে এবায়েদুল হক ও শাহজাহানের ছেলে শাহীনের বাক্বিত-া ও হাতাহাতি হয়। ঘটনার কিছুক্ষণ পর ফজলুল হকের ছেলে এবায়েদুল হকের নেতৃত্বে একই এলাকার শাহপরান, শামীম, মহসীন, বোরহান, সালমান, সোহাগ, রায়হান, খুকি, অপু মিয়া ও স্বপন পাটয়ারীসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাহীনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় শাহীনের চাচাতো ভাই জমির হোসেন ও তার স্ত্রী শাহীনুর বেগম বাধা দিতে এগিয়ে আসলে তারা তাদেরকেও মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে তাদের দুটি বসতঘর ভাংচুর করে মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তারা আহত শাহীন, শাহীনুর বেগম ও জমির হোসেনকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

আহত শাহীনের মা সুমি আক্তার জানান, ফজলুল হকের ছেলে এবায়েদুল হক ঘটনার দিন বিকেলে আমাদের বাড়িতে এসে আমার ছেলে শাহীনকে বেদম মারধর ও রক্তাক্ত জখম করেছে। এছাড়া হামলাকারীরা ভাসুরের ছেলে জমিরের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে ও তার স্ত্রী শাহীনুর বেগমকে রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার বাম হাত ভেঙ্গে ফেলে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

অভিযুক্ত এবায়েদুল হক জানান, ঘটনার দিন ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মাঝে বাক্বিত-া ও হাতাহাতি হয়। তারা আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করলে আমরাও তাদেরকে মারধর করি। তবে আমরা কোনো মালামাল লুটে নিইনি।

কচুয়া থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) দেলোয়ার হোসেন জানান, সুমী আক্তার কর্তৃক অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের দেখে এসেছি। তদন্তসাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়