প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
মতলব দক্ষিণের আশ্বিনপুর স্কুল এন্ড কলেজের নবম ও দশম শ্রেণির তিন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ২৯ আগস্ট সোমবার দুপুরে ওই প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, তিনিসহ তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য সোমবার দুপুরে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ঘটনাস্থলে যান। সেখানে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ ইয়াছিন মিয়াজী, অভিযোগকারী তিন ছাত্রী, প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষক, অধ্যক্ষ, এলাকাবাসী এবং ওই ছাত্রীদের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেন। নিরপেক্ষতা বজায় রেখে উভয় পক্ষের বক্তব্য নেন।
ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, তদন্তে কী পেয়েছেন তা তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা যাচ্ছে না। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দ্রুতই ইউএনওর কাছে জমা দেবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক বলেন, এখনো তদন্ত প্রতিবেদন তার হাতে এসে পৌঁছায়নি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগ ও ইউএনওর কার্যালয় সূত্র জানায়, গত শনিবার ছুটির পর ওই শিক্ষক ছাত্রীদের কোচিং শেষে ওই তিন ছাত্রীকে পাশের একটি কক্ষে আলাদা আলাদা ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক তাদের শ্লীলতাহানি করেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীরা শিক্ষকের অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়টি ওইদিন বাড়িতে গিয়ে তাদের অভিভাবকদের জানান। পরদিন অভিভাবকগণ বিষয়টি অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানকে জানান এবং ঘটনাটির বিচার চেয়ে তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের কপি ইউএনওর কাছেও দেয়া হয়। পরে ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মৌখিকভাবেও তার কাছে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।
ঘটনাটি তদন্তে ওইদিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা প্রশাসন। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুন নাহার ও সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন।