প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
![মতলব উত্তরে সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন](/assets/news_photos/2022/08/29/image-22584.jpg)
মতলব উত্তর উপজেলার বাগানবাড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য কামাল মল্লিকের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ ও মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৮ আগস্ট রোববার উপজেলার বাগানবাড়ি ইউনিয়নের মান্দারতলী গ্রামে কামাল মল্লিকের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কামাল মল্লিক, হোসেন মল্লিক, রং মালা, রোবেল হোসেন প্রমুখ।
কামাল মল্লিক বলেন, আমি গত ১০ বছর ইউপি সদস্য থাকাবস্থায় সরকারের তৃণমূল পর্যায়ের অনেক উন্নয়ন কাজ করেছি। যা এলাকাবাসী অবহিত আছেন। সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ।
আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও শেখ হাসিনার কর্মী। আমি দলীয়ভাবে যুবলীগ করি। আমি ইউপি নির্বাচনে ৩ বার সদস্য পদে নির্বাচন করি। দুইবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হই। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের সমর্থক একই গ্রামের নজরুল মেম্বার, সাবেক মেম্বার মোজাম্মেল হক, বিএনপি নেতা কুদ্দুস, তুহিনসহ আরো কিছু লোক আমার বিরোধিতা করে আসছে। তাছাড়া রাজনৈতিকভাবেও তারা বিএনপি করায় তাদের সাথে শত্রুতা বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন সময় তারা জোট বেঁধে আমাকে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বারবার হয়রানি করে আসছে।
নজরুল মেম্বারের নেতৃত্বে ১০/১২ জন মিলে একটি চক্র। এই চক্রটি মাদক বিক্রি, ধর্ষণ, মারামারিসহ সব ধরনের অন্যায় কাজে লিপ্ত। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তারা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়।
দক্ষিণ মান্দারতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে একটি রাস্তা সংস্কারের সময় ভ্যাকু ব্যবহার করে মানুষের গাছগাছালী নষ্ট করে ফেলেছে। অথচ ভ্যাকু দিয়ে কাজ করার কোনো নিয়ম নেই। এতে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলে না। মিজান বেপারী নামে একজন প্রতিবাদ করতে গেলে তারা তার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। এমনকি মিজানের মা এবং বোনকে মারধর করে।
গত ১৭ আগস্ট গভীর রাতে হয়তো কোনো নারী সংক্রান্ত বিষয়ে কুদ্দুসকে কে বা কারা মেরেছে তা আমি জানি না। অথচ কুদ্দুস আমাকে বিবাদী করে আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। গত ২৭ আগস্ট ওই চক্র সংঘবদ্ধ হয়ে (বিএনপি-জামাত নেতা-কর্মী) অন্য গ্রামের লোকজন এনে ও টাকা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। অথচ কুদ্দুসের মারামারির ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। সাংবাদিকদের ভূল তথ্য দিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, মান্দারতলী গ্রামের বিল্লাল বেপারী, মামুন বেপারী, জাকির হোসেন আরিফ হোসেন, মিন্টু বেপারী, বাবর আলী, আবুল কালাম, মোছলেম বেপারীসহ অর্ধশতাধিক পরিবার কুদ্দুসের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। সে চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
প্রিয় সাংবাদিকগণ, আপনারা জাতির বিবেক, সমাজের দর্পণ। আপনাদের লেখনির মাধ্যমে সত্যটা প্রকাশিত হোক আমি তা চাই। শুধু তাই না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে তারা মারধর, গালমন্দ ও হত্যার হুমকি দেয়। অন্যায় করতে করতে তাদের সাহস বেড়ে গেছে। তাদের প্রতিহত করতে সাধারণ মানুষ আজ জেগে উঠেছে। তা না হলে তারা আরো অপরাধ কর্মকাণ্ড করতে থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ রাজা মল্লিক, তোফাজ্জল মল্লিক, কাদির মল্লিক, সূরুত আলী, জাহাঙ্গীর আলম, আলী আহাম্মদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।