প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
মতলব উত্তরে টিসিবির কার্ড নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২
মতলব উত্তর উপজেলায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর কার্ড চাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত হয়েছেন ২ জন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে গাজির গাছখোলা গ্রামে নুরুল ইসলাম বেপারীর ছেলে মোঃ মোহন বেপারী (৪২) ও মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলা চালায় একই গ্রামের শহীদউল্লাহ প্রধানের ছেলে আব্দুল বাতেন মোল্লা (৫৫) ও আব্দুল বাতেন মোল্লার ছেলে সিয়াম মোল্লা (২৩)। এ ঘটনায় আহত মোঃ মোহন বেপারীর স্ত্রী লাকী বেগম বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ মহসিন মেম্বার মোঃ মোহন বেপারীর একটি টিসিবির (ন্যায্য মূল্যের) কার্ড আব্দুল বাতেন মোল্ল্যার কাছে রেখে যান। শনিবার সকাল ৯টার দিকে মোহন বেপারী টিসিবির কার্ডটি বাতেন মোল্লার কাছ থেকে চাইতে গেলে তিনি কার্ডটি না দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও বিভিন্ন হুমকি-ধমকি প্রদান করেন। বিষয়টি মোহন বেপারী এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে বিবাদী বাতেন মোল্লা আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে লাঠিসোটা, লোহার ছেনা, ধারালো দা দিয়ে মোহন বেপারীর বাড়িতে গিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে গুরুতর আহত হন মোহন বেপারী ও জাহাঙ্গীর আলম।
মোহন বেপারীর স্ত্রী লাকী বেগম জানান, আমার স্বামী বাতেন মোল্লার কাছ থেকে টিসিবির কার্ড চাইতে গেলে তাকে গালমন্দ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে আমার স্বামী বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয় আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায়। এতে করে আমার স্বামী এবং দেবর জাহাঙ্গীর আলম মারাত্মকভাবে জখম হয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদেরকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে আমার স্বামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর ইউপি সদস্য মোঃ মহসিন মেম্বার জানান, আমি টিসিবির কার্ডটি মোঃ মোহন বেপারীকে দেয়ার জন্যে বাতেন মোল্লার কাছে দিয়ে ঢাকা চলে এসেছি। এখন তারা কী জন্যে মারামারি করেছে আমি কিছু জানি না।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রবিউল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।