শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ফলোআপ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আকবর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন

প্রবীর চক্রবর্তী ॥
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আকবর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষের সময় বিপরীত দিক থেকে ছোড়া গুলিতে বুক, হাত, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছররা গুলিবিদ্ধ হওয়া সিলেট মদন মোহন সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আকবর হোসেন অবশেষে উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত সংবাদ দেখে এগিয়ে আসেন চাঁদপুরের নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুর রকিব। তাঁর নির্দেশে ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে চাঁদপুর পুলিশ লাইনের একটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্যে আকবরকে নিয়ে যায়া হয়।

ফরিদগঞ্জ থানার ওসি হানিফ সরকার জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ আকবর হোসেনের চিকিৎসাহীনতার সংবাদ চাঁদপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুর রকিবের নজরে আসে। তার নির্দেশে আমিসহ থানা পুলিশ আকবরের বাড়িতে গিয়ে তার বিষয়ে খবরাখবর নিয়ে চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত হই। পরে ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে চাঁদপুর পুলিশ লাইনের একটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্যে আকবর হোসেনকে পাঠানো হয়।

আকবর হোসেনের মা ফেরদৌসী বেগম জানান, পুলিশ আমাদের বাড়িতে গিয়ে আকবরের চিকিৎসার খোঁজখবর নেয়। শনিবার সকালে আমাদের ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আসতে বলেন। এসপি ও ওসির সহায়তায় আমার ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকা যাচ্ছি।

আকবর হোসেন জানান, আন্দোলনে পুলিশ গুলি করলেও আজ পুলিশই আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার্থে পাঠাচ্ছে। গত ৪ আগস্ট পুলিশের ছোড়া ২শতাধিক ছররা বুলেট তার শরীরে ছিলো। সিলেটে ও চাঁদপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে দেড় শতাধিক বুলেট শরীর থেকে বের করা হলেও এখনও অসংখ্য বুলেট রয়েছে। এ কারণে সে বারংবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট সিলেটে কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় বিপরীত দিক থেকে ছোড়া গুলিতে বুক, হাত, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছররা গুলিবিদ্ধ হয় সিলেট মদন মোহন সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আকবর হোসেন। সে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের দিনমজুর প্রতিবন্ধী রওশন আলী ও ফেরদৌসী বেগম দম্পতির ছেলে।

৪ আগস্ট আহত অবস্থায় আকবরকে সিলেট সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্যে বলা হলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়। গত একমাস ধরে গুলির ক্ষত নিয়ে বাড়িতে বিছানায় পড়ে থাকলেও পঙ্গু বাবা ছেলের চিকিৎসা না করাতে পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়