শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলেদের একাউন্টে টাকা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছি
মোঃ আবদুর রহমান গাজী ॥

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে জেলেদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে বলেন, ইলিশ মাছকে দিয়েই কিন্তু আমরা চাঁদপুরকে চিনি। চাঁদপুরের ব্র্যান্ডিংই হচ্ছে 'ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর'। এখন এই ইলিশ সম্পদকে যদি আমরা বাঁচিয়ে রাখতে চাই, ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চাই তাহলে জেলেদের অবস্থার উন্নতি করতে হবে। তাদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি করতে হবে এবং তাদের মাছ ধরার যে জ্ঞান তাও বৃদ্ধি করতে আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকার পর বর্তমানে জেলেরা নদীতে ইলিশসহ পর্যাপ্ত মাছ ধরতে না পারায় এবং করোনার কারণে যে কষ্টে আছেন, সেটি লাঘবে চলমান মৎস্য সপ্তাহে জেলেদের জন্যে ত্রাণের ব্যবস্থা করেছেন বলে জানান।

২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে চাঁদপুর স্টেডিয়াম প্যাভিলিয়নে প্রায় ২শ’ জেলের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক উপরোক্ত কথা বলেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসানের সভাপ্রধানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশিদ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত, জেলা জাতীয় আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক দেওয়ান।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন, সহকারী কমিশনার মোঃ উজ্জ্বল হোসেন, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টাচার্য, জেলা জাতীয় মৎস্যজীবী শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি শাহআলম মল্লিকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা এবং ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, যখন নদীতে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চলে, তখন এ মাছ রক্ষা করতে হবে। তাহলে ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। আর যখন মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ রক্ষা অভিযান থাকে ওই সময়ে যাতে জেলেরা অন্য পেশায় নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সেজন্যে জেলেদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবো। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই জেলেরা যেনো আটক হয়ে জেলে না যায় এবং তাদের যেনো কোনো কর্মের অভাব না থাকে। যখন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকে তখন যদি জেলেরা মাছ ধরতে যায় তাহলে তারা আইনের আওতায় পড়তেই হয়। আমরা নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলেদের একাউন্টে টাকা দেয়া যায় কি না সেটি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। নদীতে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে হলে জেলেদের জীবনমান নিয়ে ভাবতে হবে। তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে এবং নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার গ্যাপে জেলেদের জন্যে জীবিকা অর্জন করার সুযোগ করে দিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়