প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
করোনার ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে আবারো সরব হতে শুরু করেছে শাহরাস্তি উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে সকল নির্বাচন সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। সেইমতে শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনসহ ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীগণ আবার মাঠে নামতে শুরু করেছেন। করোনার জন্যে নির্ধারিত সময়ে শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় অনেক প্রার্থী ঝিমিয়ে পড়েছেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে শাহরাস্তি উপজেলার নির্বাচনী পরিবেশ। তফসিল ঘোষণা হলে এ নিয়ে বিগত ৪ বছরে ৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা হবে উপজেলাবাসীর।
এ বছরের ২৬ মার্চ বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ উল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই নতুন করে চেয়ারম্যানের পদটি নিয়ে উপজেলাজুড়ে আলোচনা শুরু হয়। নির্বাচনের তফসিলের অপেক্ষায় থাকে প্রার্থী ও জনগণ। কিন্তু হঠৎ করে করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন নিয়ে তেমন আলোচনা শোনা যায়নি।
বর্তমানে করোনার প্রাদুর্ভাব কমে আসায় আবারো সরব হতে শুরু হয়েছে নির্বাচনী মাঠ। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাচনে অনেকেই তাদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান মিন্টু, কেন্দ্রীয় মহিলা যুবলীগ নেত্রী ও প্রয়াত ফরিদ উল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী নাছরিন জাহান সেফালী, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ ইলিয়াছ মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেডএম আনোয়ার হোসেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির নেত্রী হাসিনা আক্তার ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সাহেদুল হক মজুমদার সোহেল। এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ইঞ্জিনিয়ার মুকবুল হোসাইন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান মিন্টু ২০১৮ সালে উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে সবার কনিষ্ঠ হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মিয়াজীর পদত্যাগের কারণে ২০১৮ সালে কয়েক মাসের জন্যে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ফরিদ উল্লাহ চৌধুরী ৩০ এপ্রিল দায়িত্ব বুঝে নেন। এ বছরের ২৬ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করলে আবারো উপ-নির্বাচনের আলোচনা শুরু হয়।
নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সরব হলেও বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের কোনো সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়নি। তাবে উপজেলা পরিষদের দুইবারের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির নেত্রী হাসিনা আক্তার ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সাহেদুল হক মজুমদার সোহেল পরিস্থিতি বুঝে নির্বাচন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তারা দলীয় যে কোনো সিন্ধান্ত মেনে নিবেন।
বিগত কয়েক বছরে শাহরাস্তি উপজেলার প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের মৃত্যুতে বর্তমানে নতুনদের হাতেই এ পদটি দেখা যাবে। তবে এ পদের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী দেখা গেলেও এ ক্ষেত্রে বিএনপির শূন্যতা অনেকটাই চোখে পড়ার মতো। বর্তমানে জনগণের মাঝে আলোচনার বিষয়, কে পাবেন নৌকা প্রতীক। বর্তমানে সম্ভাব্য প্রার্থীগণ দলীয় মনোনয়ন পেতে দলীয়ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।