প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ফরিদগঞ্জের আইলের রাস্তা-গোয়ালভাওর সড়ক
সেতু ভেঙ্গে চলাচলে দুর্ভোগ
দ্রুত মেরামতের দাবি
গত দুই সপ্তাহ পূর্বে রাতে ভারী মালামালসহ একটি গাড়ি সেতুটি পার হওয়ার সময় এর কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়ে। পর্যায়ক্রমে ভাঙ্গার পরিমাণ বাড়ছে। প্রতিদিনই ২/১টি দুর্ঘটনা ঘটছেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এভাবেই ক্ষোভ ঝাড়লেন ভুক্তভোগী গাড়ি চালক মহিবুল্লাহ। দুর্ভোগের ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ আইলের রাস্তা-গোয়ালভাওড়-বিরামপুর সড়কের জলহক পাটওয়ারী বাড়ির সম্মুখস্থ সেতুর।
|আরো খবর
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের সাথে চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার আইলের রাস্তা-গোয়ালভাওর-বিরামপুর-সোলখালী সড়কটি একটি সংযোগ সড়ক। এই সড়কের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের জলহক পাটওয়ারী বাড়ির সামনের সেতুটিতে গত দুই সপ্তাহ পূর্বে ভারী মালামাল পরিবহনকারী গাড়ি চলার সময় সেতুর উপরের একটি অংশ ভেঙ্গে যায়। পরে আস্তে আস্তে গর্তটি বড় আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী আহাম্মদ মিন্টু পাটওয়ারী, লিটন মিজি ও আনোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিনেও পুরাতন সেতুর স্থলে নুতন সেতু নির্মিত হয়নি। ফলে সেতুটির উপরিভাগ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় গাড়ি পারপার হতে গিয়ে সেতুটি ভেঙ্গে পড়েছে। এখন দিনের বেলায় লোকজন দেখেশুনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও রাতের বেলা বিপজ্জনক হয়ে উঠে। তাই দুর্ঘটনা ঘটছেই।
গাড়ি চালক মহিবুল্লাহ, লোকমানসহ বেশ ক’জন জানান, আমরা এখন সড়কটি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। সেতুটি পারপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটলে কে দেখবে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে সেতুর দুরবস্থা আরো আগেই মেরামত করা প্রয়োজন ছিলো।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জানান, সেতুটি মেরামতে তিনি ২/১দিনের মধ্যেই ব্যবস্থা নিবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহাম্মদ জানান, আরো আগেই এই স্থানে নতুন সেতু নির্মাণ হয়ে যেত। কিন্তু সেতুর একপাশে ভরাট করে ফেলায় আমাদের সেতু নির্মাণে এবং সেচ প্রকল্পের পানি নির্গমন ব্যাহত হচ্ছে। ভেঙ্গে যাওয়া অংশ দ্রুত মেরামত করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধি সহযোগিতা করলে দ্রুত নূতন সেতু নির্মাণ সম্ভব।