শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৪৪

এনসিটিবি কি কর্তৃত্ববাদের পুনর্বাসন কেন্দ্র--প্রশ্ন টিআইবির

অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দিয়ে নিজেকে কর্তৃত্ববাদের পুনর্বাসনকেন্দ্র হিসেবে পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি ২০২৫) এক বিবৃতিতে টিআইবি জানায়, এনসিটিবির এ সিদ্ধান্ত ও পরবর্তী সময়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদরত শিক্ষার্থীদের ওপর ধারাবাহিক হামলা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের চেতনার সঙ্গে প্রতারণা।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে এনসিটিবির জবাবদিহিতাসহ প্রতিষ্ঠানটিকে কর্তৃত্ববাদের দোসরমুক্ত করে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এনসিটিবি প্রমাণ করতে চেয়েছে, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদের পতন হলেও এই সংস্থায় কর্তৃত্ববাদের চর্চার পরিবর্তন হয়নি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আদিবাসী পরিচয় ব্যবহার করা যাবে না-- এমন উদ্ভট তত্ত্ব আবিষ্কার করেছিল কর্তৃত্ববাদী সরকার। আর তার পেছনে ইন্ধন ছিলো এমন স্বার্থান্বেষী মহলের, যারা আদিবাসী অধিকার হরণের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমালোচনাকে মিথ্যাচারের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যে বিশ্ববাসীকে বলতে চেয়েছিল-- বাংলাদেশে আদিবাসী নেই।

তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্বীকার করতে চায়নি যে, আদিবাসী পরিচয়ের মানদণ্ড কোনো জনগোষ্ঠী কোনো নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে কতকাল যাবত বসবাস করছেন তার ওপর নির্ভর করে না। তারা মানতে চায়নি যে, আদিবাসী হচ্ছেন মূলধারার সংখ্যাগরিষ্ঠের বাইরে এমন জনগোষ্ঠী যারা তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, প্রথাগত ও প্রাকৃতিক পরিবেশ-নির্ভর জীবনাচরণের ধারা বহাল রেখে নিজেরা আদিবাসী হিসেবে পরিচিত হতে চায়, যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আদিবাসী পরিচয়ের এ ব্যাখ্যা যে, বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত তা না জানা এনসিটিবির জন্য লজ্জাজনক। শুধু তা-ই নয়, কোনো প্রকার বিচার বিবেচনা না করে এক পক্ষের আবদারের দোসর হওয়া পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের প্রতিফলন ছাড়া আর কিছুই না।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সহিংসতা, জাতিগত বিদ্বেষ এবং ধর্মান্ধতার কোনো স্থান নেই। তবে উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, এতে দৃশ্যত সচেতনভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পরিচয় হিসেবে আদিবাসী শব্দটি ব্যবহৃত হয়নি। যা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে আদিবাসী পরিচয় বিষয়ক শব্দচয়নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সূত্র : জাগো নিউজ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়