হাইমচরে আরমান (২৬) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আরমান উপজেলার গ-ামারা গ্রামের তোফায়েল আহমেদের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের লাশ চাঁদপুর মর্গে পাঠিয়েছে হাইমচর থানা পুলিশ। মৃত আরমানের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাথী বেগম (২৫)কে আটক করেছে পুলিশ।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা জায়, আরমান ও তার স্ত্রী সাথী বেগমের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকেই পারিবারিক কলহ লেগে ছিলো। বুধবার কাজ থেকে ফিরে আসার পর তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় আরমানের লাশ তার ঘরে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত আরমানের মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।

নিহতের পিতা তোফায়েল কবিরাজ জানান, আমার ছেলে কাজ করে দেরিতে বাড়ি যাওয়ায় ছেলের বউ তার সাথে ঝগড়া করে। ছেলেকে জিজ্ঞাসা করে, বাড়িতে আসতে দেরি হলো কেনো? ছেলে বলেছে, টাকার জন্যে কাজ করেছি। বউ উঠে বললো, এমন টাকার প্রয়োজন নেই। কাজ করে দেরিতে বাড়িতে আসার বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। সন্ধ্যায় ছেলের বউ ও তার শাশুড়িসহ লোকজন দিয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করে আমাকে খবর দেয়, ছেলে ফাঁসি দিয়েছে। আমার ছেলের মাথা থেকে তখনও রক্ত ঝরছিল। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। এর আগেও এই বউ ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যায়। তাদের মধ্যে প্রায় ঝামেলা লেগেই থাকতো।

হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান মোল্লা জানান, আরমানের মৃত্যুটি একটি রহস্যজনক মৃত্যু। তার মাথায় আঘাতের ফলে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং গলায় ফাঁস দেয়ার চিহ্নও রয়েছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। মৃত আরমানের পিতা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামীকে আটক করেছি। বাকি আসামীদের আটকের অভিযান চলমান। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।