রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে প্রস্তুতিমূলক সভা

প্রজন্মের কাছে ভাষা শহিদদের অবদান তুলে ধরতে হবে

---------জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান

বিমল চৌধুরী ॥
প্রজন্মের কাছে ভাষা শহিদদের অবদান তুলে ধরতে হবে

শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। তিনি বলেন, একুশ আমার অহঙ্কার, একুশ আমার চেতনা। ভাষা আন্দোলন থেকেই আমার দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা হয়েছিলো। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যারা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে। আমরাই একমাত্র জাতি যারা মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য রক্ত দিয়েছি, বিসর্জন দিয়েছি নিজেদের প্রাণ। আমাদের ইচ্ছে থাকলেও আমরা এখন আর আগের মতো তেমনভাবে একুশ পালন করতে পারি না। তার কারণ এই না, ভাষা শহিদদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধ কমে গেছে। আমরা এখনও ভাষা শহিদসহ যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন তাদেরকে অনেক শ্রদ্ধা করি। তিনি একুশ উদযাপনে খালি পায়ে প্রভাতফেরীতে অংশ নেয়াসহ বিভিন্ন স্মৃতিকথা তুলে ধরে আরও বলেন, আমাদের প্রজন্মকে ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে বেশি বেশি অবহিত করতে হবে। কোনোক্রমেই যেন বাংলা ভাষার অবমাননা না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

তিনি যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ দিবস পালনের আহ্বান জানান এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উদযাপনে ব্যাপক কর্মসূচি প্রণয়ন করেন।

অনুষ্ঠান শুরুতে গতবছরের গৃহীত কার্যক্রম উপস্থাপন ও সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ। গভীর শ্রদ্ধায় শহিদ দিবস ও মাতৃভাষা দিবস পালনে করণীয় ও ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণের লক্ষ্যে মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ বদরুন নাহার চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চাঁদপুর সদর সার্কেল) ইয়াছির আরাফাত, পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ইকবালুর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহদাত হোসেন শান্ত, জেলা স্কাউট সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, চাঁদপুর থিয়েটার ফোরামের সভাপতি শহিদ পাটোয়ারী, নাট্যব্যক্তিত্ব শরীফ চৌধুরী, জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার, এক্স ক্যাডেট সেক্রেটারী মোঃ সেলিম রেজা প্রমুখ।

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রত্যুষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে ভাষা শহিদদের স্মরণে প্রার্থনা, ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বইমেলা, একুশভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ২১ ফেব্রুয়ারি রাতের প্রথমে প্রহর থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জাগরণী অনুষ্ঠানসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সম্মুখস্থ রাস্তায় আলপনা আঁকা, শহিদ দিবসের ক্রোড়পত্র প্রকাশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা, শিক্ষার্থীদেরকে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে উৎসাহ প্রদান, সকল শহিদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহণসহ ব্যাপক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যাপক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়