প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:২৮
বৈষম্যবিরোধী নকলনবিশ দাবি আদায় পরিষদের চাকুরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন-পরবর্তী করণীয় শীর্ষক আলোচনা
বৈষম্যবিরোধী নকলনবিশ দাবি আদায় পরিষদের আয়োজনে ৫১৬টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকলনবিশদের চাকুরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন-পরবর্তী করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যানঘাটস্থ ইউরেশিয়া রেস্টুরেন্ট এন্ড কনভেনশন হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
|আরো খবর
বক্তারা বলেন, আমরা যারা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত, তাদের খাতা-কলম থেকে শুরু করে বসার স্থানটা পর্যন্ত সরকারি অফিসে। অথচ আমাদের চাকরি সরকারি নয়। জাতীয়করণের দাবিতে ১৯৭৬ সাল থেকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকলনবিশরা আন্দোলন করে আসছেন। দেশে একের পর এক সরকারের পালাবদল ঘটলেও নকলনবিশদের দাবি আজও পূরণ হয়নি।
বক্তারা বলেন, আমরা কোনো উৎসব-পার্বণে ভাতা-বোনাস পাই না। এমনকি আমাদের নারী নকলনবিশ বোনেরা মাতৃত্বকালীন ছুটি পর্যন্ত পায় না। এ বৈষম্য থেকে আমাদেরকে বের করে সারা বাংলাদেশের নকলনবিশদের সম্মানের সঙ্গে চাকুরি জাতীয়করণ করতে হবে। ইতোমধ্যে বর্তমান সরকার আমাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আমরা আশা করবো, অতি দ্রুত সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না করলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন বক্তারা।
বাংলাদেশ এক্সট্রা-মোহরার (নকলনবিশ) অ্যাসোসিয়েশন, চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি সাহিদা আক্তার স্বপ্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল মাহমুদ (সাগর)-এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এক্সট্রা-মোহরার (নকলনবিশ) অ্যাসোসিয়েশন ও বৈষম্যবিরোধী নকলনবিশ দাবি আদায় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, প্রচার সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, অর্থ সম্পাদক মো. রুবেল পারভেজ, দপ্তর সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দীন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী জানিয়াত হোসেন (মেহেল), চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক আব্দুল করিম ও কুমিল্লা জেলার সভাপতি মো. কামাল হোসেন। এছাড়া আলোচনা সভায় সংগঠনের চাঁদপুর জেলার সকল উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ এক্সট্রা-মোহরার (নকলনবিশ) অ্যাসোসিয়েশন, চাঁদপুর জেলা শাখা আয়োজিত এ আলোচনা সভার সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মো. আনোয়ার হোসেন খান, হাবিবুর রহমান খান, অজয় চন্দ্র, মিজানুর রহমান, মো. আল আমিন, কান্তি রঞ্জন, মো. মহিউদ্দীন, মো. ফজলুর রহমান, ফিরোজ আলম, মো. হোসেন প্রমুখ।