প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে স্কুলের আঙিনায় মারামারির ঘটনায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
ফরিদগঞ্জে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙিনায় দুই শিক্ষকের মারামারির ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই শিক্ষকের স্কুল থেকে প্রদেয় বেতন কর্তন করা হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি শনিবার জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, এক স্কুল শিক্ষার্থীর প্রগ্রেসিভ রিপোর্ট দেখাকে কেন্দ্র করে গত ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনছুর আহমেদ অপর সহকারী শিক্ষক ছানাউল্লা মিয়াকে পাগল বলে। এ নিয়ে কথাকাটির একপর্যায়ে ছানাউল্লা মিয়া মুনছুর আহমেদকে ঘুষি মারে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে মুনছুর আহমেদ প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিলেও বিচারের অপেক্ষা না করে পরদিন ১০ জানুয়ারি বুধবার মুনছুর আহমেদ ছানাউল্যা মিয়াকে স্কুল আঙ্গিনাতেই লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলের সকল শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করে মাঠে এসে বিক্ষোভ করে। সংবাদ পেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কবির হোসেনসহ অন্যরা শিক্ষার্থীদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে ক্লাসে ফিরিয়ে নিয়ে যান এবং একই সাথে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নির্দেশে সহকারী শিক্ষক সোলায়মান পাটওয়ারীকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৩ জানুয়ারি শনিবার ম্যানেজিং কমিটি এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি সভায় ঘটনার ব্যাপক বিশ্লেষণ করে উভয় শিক্ষককে তাদের স্কুল থেকে প্রদেয় বেতনের একটি অংশ কর্তনের নিদের্শনা দেয়া হয়।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুই শিক্ষকের মধ্যকার অপ্রীতিকর ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে দুই শিক্ষককে বেতন কর্তনের শান্তি প্রদান করা হয়।