রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৭

ট্রাক্টরের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ হোক

অনলাইন ডেস্ক
ট্রাক্টরের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ হোক

‘চাঁদপুর সদরে নিষিদ্ধ ট্রাক্টরের দাপট! আতঙ্কিত জনগণ ॥ ধ্বংস হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক’-এটি গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত শীর্ষ সংবাদের শিরোনাম। সংবাদটিতে সোহাঈদ খান জিয়া লিখেছেন, চাঁদপুর সদর উপজেলায় ট্রাক্টরের দাপট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জনগণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। জানা যায়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পূর্বের ন্যায় ট্রাক্টর চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ট্রাক্টর বেপরোয়া গতিতে সড়কে চলাচল করে থাকে। যার ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা খুব বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি গ্রামীণ সড়ক ধ্বংস হচ্ছে। অযোগ্য ও অদক্ষ চালক দিয়ে চালানো হচ্ছে ট্রাক্টর। কোনো রকম স্টিয়ারিং ধরতে পারলে অনেকে চালকে পরিণত হয়ে যায়। এসব ট্রাক্টরের সড়কে চলাচলের অনুমোদন সংক্রান্ত নেই কোনো কাগজপত্র। চালকদের নেই কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স। এক শ্রেণির বালু, ইট ও মাটি ব্যবসায়ী এসব ট্রাক্টর ব্যবহার করছে। বাঘড়া বাজার, নানুপুর, পশ্চিম সকদী, সাহেব বাজার, শাহতলী, মোল্লা বাজারসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যন্ত্রদানব ট্রাক্টরের দৌরাত্ম্য চোখে পড়ে বেশি। এসব এলাকায় বেপরোয়া গতিতে ট্রাক্টর চলাচল করার কারণে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ পথচারীরা থাকে আতঙ্কে। এই ট্রাক্টরের চাপায় পিষ্ট হয়ে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। ট্রাক্টর চাপায় হতাহত বৃদ্ধির এক পর্যায়ে পুরো চাঁদপুর জেলায় ট্রাক্টর চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। এরপরও কীভাবে এই যন্ত্রদানব ট্রাক্টর রাস্তায় বীরদর্পে চলছে তা জনগণের বোধগম্য নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, ট্রাক্টর ইট, বালু, মাটি বহনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ট্রাক্টর ব্যবহারকারীরা প্রভাবশালী ও অর্থশালী হওয়ায় আমরা ভয়ে কথা বলতে সাহস পাই না। ট্রাক্টরের চাপায় বহু মানুষ মারা গেছেন। এদের বিচার আজো হয়নি। একটি চক্র অর্থের বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে থাকে। চাঁদপুরের সাবেক পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার সড়কে ট্রাক্টর চলাচল নিষিদ্ধ করলে এরপর অনেকদিন যাবত বন্ধ ছিলো। কিন্তু এখন আবার সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাক্টর। এ ব্যাপারে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (এডমিন) মো. মাহফুজ মিয়া বলেন, পূর্বের ন্যায় আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে। চাঁদপুর শহর এলাকায় ট্রাক্টর আসে না। বিভিন্ন উপজেলা সদরে ও চাঁদপুর সদর উপজেলার গ্রামাঞ্চলে হয়তো চলাচল করে থাকে। সেখানে চলাচলরত ট্রাক্টরের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমান পুলিশ সুপার স্যারও ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে কঠোর রয়েছেন।

আমরা গ্রামীণ সড়ক ধ্বংসকারী কলের লাঙ্গল ট্রাক্টরকে পরিবহনের কাজে অবৈধভাবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে চাঁদপুরে পুলিশের নিরাপোষ ভূমিকাকে সবসময়ের জন্যেই প্রত্যাশা করি। পর্যাপ্ত পিকআপ (মিনি ট্রাক) সহজলভ্য হবার পরও সড়কে নিষিদ্ধ ও অবৈধ ট্রাক্টর ব্যবহার করে যারা ইট, বালু ও মাটি পরিবহনের কাজটি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ট্রাক্টর আটক ও বিকল করে দেয়ার পাশাপাশি কীভাবে ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেটি নিয়ে পুলিশ সহ সকল আইন প্রয়োগকারীকে ভাবতে হবে। সেজন্যে গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে প্রভাবশালী ট্রাক্টর ব্যবহারকারীদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে এবং তাদেরকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দিতে হবে। কৃষি কাজে ব্যবহারের বাইরে যে সকল ট্রাক্টর চালক ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া সড়কে ট্রাক্টর চালাবে, তাদেরকেও সতর্ক করতে হবে। এমন সতর্কতার পরও ট্রাক্টর চালক ও পরিবহন কাজে ট্রাক্টরের অবৈধ ব্যবহারকারীরা যদি সংযত ও বিরত না হয়, তাহলে তাদেরকে জেল-জরিমানার মুখোমুখি করতে হবে। মোদ্দা কথা, আমরা ট্রাক্টরের অবৈধ ব্যবহারের বিরুদ্ধে পুলিশ সহ আইন প্রয়োগকারী সকলের নিরাপোষ ভূমিকা চাই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়