রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

খ্রিস্টান পাড়ায় উইলকৃত জমি বুঝে পেতে চায় ভুক্তভোগী শ্যামল চন্দ্র দাস

স্টাফ রিপোর্টার ॥
খ্রিস্টান পাড়ায় উইলকৃত জমি বুঝে পেতে চায় ভুক্তভোগী শ্যামল চন্দ্র দাস

আইনী লড়াই শেষে চাঁদপুর শহরের খ্রিস্টান পাড়ায় নিজের সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দাতা থেকে পাওয়া উইলকৃত জমি বুঝে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভুক্তভোগী শ্যামল চন্দ্র দাস ও তার পরিবারবর্গ। আদালত থেকে স্বীকৃতি পাওয়া ওই জমির পরিমাণ প্রায় ২.৫০ শতাংশ। যদিও বিষয়টি আদালত কর্তৃক স্বীকৃত নয় বলে দাবি করছেন শলোমন মণ্ডল। গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে জমি বুঝে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী শ্যামল চন্দ্র দাস।

তিনি আদালতের রায়ের কয়েকটি কাগজ দেখিয়ে বলেন, ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের যুগ্ম জেলা জজ পারভেজ আহমেদ এ জায়গার স্বীকৃতিস্বরূপ আমার পক্ষে রায় দেন। এর আগে ২০১৯ সাল হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৪০২/২০১৯ মামলাটি আদালতে চলমান অবস্থায় উভয় পক্ষের মনোনীত কৌঁসুলি এবং বাদী ও বিবাদী পক্ষের শুনানিতে দুই তরফা সূত্রে ভুক্তভোগীর ডিক্রি ও রায় প্রদান করেন। যে মামলাটির বাদী ছিলেন মৃত অমূল্য মণ্ডলের ছেলে শলোমন মণ্ডল এবং ১৪নং বিবাদী ছিলেন বর্তমান ভুক্তভোগী আমি অর্থাৎ গৌরী শঙ্কর দাসের ছেলে শ্যামল চন্দ্র দাস।

তথ্য উপাত্ত দেখিয়ে শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, জমিদাতা সচিন্দ্র চন্দ্র দাস ও তার পরিবারের সাথে প্রায় ৩৫ বছর পূর্ব হতেই আমার পিতা-মাতার মাধ্যমে পরিচিত ছিলাম। সে হিসেবে নিঃসন্তান সচিন্দ্র চন্দ্র দাস ও তার স্ত্রী সুষমা রাণী দাস অসহায় বার্ধক্যজনিত অসুস্থ হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ নিরলসভাবে আমি ও আমার পরিবারবর্গ সেবা করে গেছি। সে হিসেবে সচিন্দ্র চন্দ্র দাস খুশি হয়ে গত ২০১২ সালের ১৫ জুলাই চাঁদপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হন। এরপর রেজিস্ট্রারের সম্মুখে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে উইলকৃত দলিলে স্বাক্ষর করে দান করে দেন। যা উইল নং ১১১৫০তে রেজিস্ট্রিকৃত এবং এটি বলিয়মে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

ভুক্তভোগী শ্যামল দাস আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে সচিন্দ্র দাসের মৃত্যুর পর প্রতিপক্ষ শলোমন মণ্ডল একের পর এক হত্যা মামলাসহ দুই হালি মামলা দিয়েছেন, যা আদালত কর্তৃক ১০৭ ধারায় মিথ্যা ও হয়রানি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এতো কিছুর পরেও যখন আমি কাঙ্ক্ষিত এবং ন্যায়ের ওপর আস্থা রাখা রায়টি আদালত কর্তৃক পেলাম, তখন আমার জায়গাটুকু দখলে দিতে কালবিলম্ব করছেন ওই শলোমন মণ্ডল। তাই আমি আদালতে রায় পাওয়া ওই ভিটিবাড়িটি বুঝে পেতে প্রশাসন ও সুধীসমাজের সর্বোচ্চ সহায়তার অনুরোধ করছি।

এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে শলোমন মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, এ সমস্ত রায়ের বিষয় সম্পূর্ণ ভুয়া। উল্টো শ্যামল চন্দ্র দাস কীভাবে এই রায় পেলো এবং কোথায় পেলো এই জায়গা তা জানতে আমি আদালতের মাধ্যমে তাকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছি। তাছাড়া খ্রিস্টান ধর্মীয় আইনানুযায়ীও তিনি ওই সম্পত্তি দাবি করার সুযোগ নেই। বিষয়টির আইনী লড়াই এখনো শেষ হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়