রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

মধ্য মনোহরখাদী ছালেহীয়া পাঠাগার ও যুব সংগঠনের ব্যতিক্রম আয়োজনে ওমরা পালন

মোঃ আবদুর রহমান গাজী ॥
মধ্য মনোহরখাদী ছালেহীয়া পাঠাগার ও যুব সংগঠনের ব্যতিক্রম আয়োজনে ওমরা পালন

চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত গ্রাম মনোহরখাদী। এ গ্রামেই মধ্য মনোহরখাদী বায়তুন নূর জামে মসজিদ। এ মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওঃ মোঃ সুলতান মাহমুদ যুব সমাজকে অনৈসলামিক কার্যকলাপ ও ইসলামি আদর্শে উজ্জীবিত করতে ৬০ সদস্য নিয়ে ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন মধ্য মনোহরখাদী ছালেহীয়া পাঠাগার ও যুব সংগঠন।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্যে শিক্ষা উপকরণ (খাতা, কলম) দিয়ে সহায়তা করে চলেছে সংগঠনটি। সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার ফলে গ্রামের যুব সমাজ শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও উদ্যোগী হচ্ছে। তারা মাদক থেকে নিজেদের বিরত রাখতে সক্ষম হচ্ছে এবং অনৈসলামিক কার্যকলাপ থেকে মুক্ত থাকছে। এছাড়া যৌতুকমুক্ত বিবাহ অনুষ্ঠানে সংগঠন উৎসাহ প্রদান করে গ্রামবাসীর কাছে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে।

শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের সুবিধার্থে সংগঠনটির গ্রামের মধ্যে বেশ পরিচিতি রয়েছে। যেখানে ২শ’টিরও বেশি বিভিন্ন ধরনের বই সংরক্ষণ করা হয়েছে। গ্রামের যুব ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই পাঠাগারে এসে জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ লাভ করছে। এ পাঠাগারের সদস্যরা যুবকদের সুস্থ ও সুন্দর জীবন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছেন।

২০২০-২১ সালে করোনাকালীন সময়ে মনোহরখাদী গ্রামের অসহায় দুঃস্থ পরিবারের মাঝে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করে মানুষের পাশে দাঁড়ায় এই সংগঠনটি।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মনোহরখাদী বায়তুন নূর জামে মসজিদের খতিব মাওঃ মোঃ সুলতান মাহমুদ ফরিদগঞ্জ চরপাড়া মোহাম্মাদীয়া তৈয়্যিবিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক। তাঁর নেতৃত্বে ওই গ্রামে যুবকদের নিয়ে শুরু হয় এ সংগঠনের কার্যক্রম।

সংগঠনের কার্যক্রমের মধ্যে গত সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে ২৫ সদস্য জনপ্রতি ১ হাজার টাকা জমা করে ওমরার কার্যক্রম শুরু করেন। সংগঠনের সদস্যদের জমানো টাকা থেকে সংগঠনের ৩ জন সদস্যকে ওমরায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এমন সিদ্ধান্তের আলোকে গত ২৫ ডিসেম্বর রাত ৯টায় সংগঠনের তিনজন তাঁরা নিজেরা না গিয়ে তাদের পিতাকে ওমরাহ্ হজে পাঠান। কমিটির তিন সদস্যের নাম ও তাদের পরিবর্তে তাদের পাঠানো পিতার নাম ১. মোঃ আরিফ মোল্লা (২৩) পিতা-মোঃ আফজাল মোল্লা। ২. মোঃ শাহ আলম মোল্লা (২৭) পিতা-মোঃ মোস্তফা মোল্লা ৩. মোঃ মাসুদ তফাদার (৩৫) পিতা-মুসলিম তফাদার। মাসুদ তফাদার তাঁর বাবা মা উভয়কে ওমরাহ্ হজে পাঠিয়েছেন। জনপ্রতি খরচ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। যুবকদের এমন কার্যক্রমে অভিভাবক মহলে আনন্দ বিরাজ করছে।

সংগঠনটির উপদেষ্টা : আব্দুল আউয়াল শেখ, কাজল মাস্টার, কাওসার মাস্টার, আলাউদ্দীন মাস্টার, মানিক মাস্টার ও কবির বেপারী।

সংগঠনের অন্যান্য সদস্য : বোরহান মিজি, ঈমান হোসেন তাতী, ডাঃ ইয়াকুব হোসেন রাজু, আশিক বেপারী, সুলতান খান, শামীম দেওয়ান, আসিফ মোল্লা, ইদ্রিস মোল্লা, আব্দুস সালাম বেপারী, সজিব মিজি, বাশার মোল্লা, রিয়াদ মিজি, হৃদয় মাল, জনি প্রধানিয়া, রাসেল বেপারী, নাঈম পাটওয়ারী, রাকিব বেপারী ও রিপন মাল।

কার্যক্রম : রমজানের কুরআন শিক্ষা ও ইফতার মাহফিল এবং হজ কার্যক্রম, প্রতিবছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মাসিক মিটিং।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়