প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, চাঁদপুর এবং শরীয়তপুরকে আমি আলাদাভাবে দেখি না। চাঁদপুর এবং শরীয়তপুর আমাদের। এ এলাকার নদী ভাঙ্গন রোধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ, শরীয়তপুর ফেরিঘাট ও ইব্রাহিমপুর এলাকার জন্যে স্থায়ীভাবে কাজ করার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে শরীয়তপুর ঈদগাহ ফেরিঘাট, ইব্রাহিমপুর বাজার ও চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন মন্ত্রী প্রথমে শরীয়তপুর ফেরিঘাটে আসেন। সেখানে সদ্যসমাপ্ত ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ঈদগাহ ফেরিঘাট ও ইব্রাহিমপুর রক্ষা প্রকল্প কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন। পরে তিনি চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট পরিদর্শন করেন।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ সময় উপস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে চাঁদপুরের নদী ভাঙ্গন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। হরিসভা ও বড়স্টেশন মোলহেডে জরুরি কাজের জন্যে ২৫ হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখার তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন।
এছাড়াও মন্ত্রী হরিণা ফেরিঘাটে রোরো ফেরিঘাট তৈরিতে এবং গাড়ি ওঠানামার সুবিধার্থে নদীর পাড়ে কিছু জিও বালু বস্তা দেয়ারও নির্দেশনা দিয়েছেন।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সাথে ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাসির উদ্দিন সরোয়ার, ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্লা, চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিতু মিয়া বেপারী, বাপাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নকীব আল হাসান, ওয়াহিদুর রহমান ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অনেকে।