শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

শাহরাস্তিতে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥

শাহরাস্তিতে পারিবারিক কলহের ঘটনায় বাবা ছেরাগ আলী (৭৫)কে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে ইমরান হোসেন আকবর (৪০)কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মহসিনুল হক এই রায় দেন। আসামীর উপস্থিতিতে রায় দেয়া হয়।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ইমরান হোসেন আকবর শাহরাস্তি উপজেলার সেতিনারায়ণপুর গ্রামের বড় বাড়ির ছেরাগ আলীর ছেলে। হত্যার শিকার ছেরাগ আলী ওই বাড়ির মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী ইমরান উশৃঙ্খল প্রকৃতির। তিনি নিজ স্ত্রী ও সন্তানকে প্রায়ই মারধর করতেন। যার কারণে ২০১৭ সালে স্ত্রী ও সন্তান পিত্রালয়ে চলে যায়। এরপর ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে নিজ বাড়িতে পারিবারিক বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমরান ধারালো দা দিয়ে তার বাবার মাথা, চোখ ও কানে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন। ঘটনাস্থলেই ছেরাগ আলীর মৃত্যু হয়। ওই সময় তার মা ফুলমতি বেগম স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও মেরে আহত করেন ইমরান। পরিবারের লোকজন ফুলমতি বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং পুলিশ এসে ছেরাগ আলীর মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। ঘটনার পর ইমরান হোসেন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ওই দিনই শাহরাস্তি থানায় ইমরানকে হত্যা মামলার আসামী করে ছোট ভাই মোঃ সোলেমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর ২১ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আনিছুর রহমান আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর ওই বছর ২ নভেম্বর তদন্ত শেষে তিনি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) রণজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলাটি ৩ বছরের অধিক সময় চলাবস্থায় আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। সাক্ষ্য ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোঃ শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়