প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে বোনের বাড়িতে প্রেম সংক্রান্ত ঘটনায় ফরহাদ ভূঁইয়া (১৮) নামের এক কিশোরকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ জুলাই মঙ্গলবার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের শোশাইরচর গ্রামে। নিহত ফরহাদ ভূঁইয়া একই উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের তাম্রাশাসন গ্রামের মোঃ বাবুল ভূঁইয়ার ছেলে।
মৃতের ভাই কামরুল হোসেন জানান, তার বড় বোন জান্নাতের স্বামীর বাড়ি বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের শোশাইরচর গ্রামে। তার ভগ্নিপতি ঢাকাতে বসবাস করে। ফরহাদ হোসেন কিশোর হলেও পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ফরহাদ হোসেনকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য তার পরিবার চেষ্টা করছে। ২৪ জুলাই সোমবার সন্ধ্যায় সে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে। রাত ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে মুঠো ফোনে কল দিয়ে ও অনেক খোঁজাখুজি করেও রাতে তাকে পাওয়া যায়নি।
ভোররাতে মুঠোফোনের মাধ্যমে ফরহাদের বড় বোন জান্নাত আক্তার জানতে পারেন, তার ভাইয়ের মরদেহ নিজের স্বামীর বাড়ির সামনে গলায় ওড়না জড়ানোবস্থায় রয়েছে। এ সময় ফরহাদের বাঁ পায়ে রক্ত ঝরেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বোনের দাবি তার ভাইয়ের ভাইয়ের মৃত্যু রহস্যজনক। এর সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন। যে কেউ তার ভাইকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। যেভাবে লাশ দেখেছে ওই বাড়ির লোকজন তা সন্দেহ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কজন জানান, প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ফরহাদের ঝামেলা ছিল। এটি নিয়ে সালিসও হয়েছে। প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। নিহতের বড় ভাই রিয়াদ বলেন, আমার বোনের ছোট জা পিংকির সাথে আমার ভাইয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাই যেভাবে ফাঁসিতে ঝুলে দাঁড়িয়ে ছিলো, এভাবে মানুষ ফাঁসি দিতে কখনো দেখি না। আমি নিশ্চিত আমার ভাইকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমার ভাইয়ের হত্যাকারীর বিচার চাই।