প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
বিধিনিষেধ শিথিলে যানজটের কবলে চাঁদপুর শহর
লঞ্চঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের স্রোতে
কঠোর বিধি-নিষেধ শেষে প্রথম দিনে চিরচেনা সেই আগের রূপে দেখা গেছে চাঁদপুর শহরকে। মার্কেট, বিপণীবিতান, দোকানপাট সবকিছুই খুলেছে। গতকাল ১১ আগস্ট বুধবার চাঁদপুর লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশনে মানুষের উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে।
|আরো খবর
মানুষের স্রোতে শহরে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। পালবাজার ব্রিজ চত্বর, কালীবাড়ি মোড়, কোর্টস্টেশন, শপথ চত্বর, মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, মিশন রোড, মেথা রোড, কবি নজরুল সড়ক, কলেজ রোড, ইলিশ চত্বর, বাসস্ট্যান্ড, ডিসি অফিস সড়কে ছিলো দিনভর তীব্র যানজট। লঞ্চঘাট অভিমুখী সড়কে যানজটের মাত্রা দেখা যায় বেশি।
বিধি-নিষেধ উঠে যাওয়ার প্রথম দিনে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যায়নি। সড়কে, যানবাহনে চলাচলরত মানুষকে দেখা গেছে মুখের মাস্ক থুতনিতে। নেই সামাজিক দূরত্বের বালাই। ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। সরেজমিনে বিভিন্ন স্থানে যানজটের দৃশ্যই চোখে পড়ে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা কঠোর বিধি-নিষেধ শেষে বুধবার অনেকটাই চিরচেনা রূপে ফিরেছে চাঁদপুর।
সূর্য ওঠার আগেই লঞ্চঘাট, রেল স্টেশনে মানুষের ঢল নামে। সবচেয়ে বেশি যাত্রী দেখা যায় লঞ্চঘাটে। যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে নির্ধারিত সময়ের বিশ মিনিট, আধা ঘণ্টা আগেই লঞ্চগুলোকে ছেড়ে যেতে হয়েছে। এমন তথ্য জানান দীন মোহাম্মদ জিল্লু নামে একজন লঞ্চঘাট সুপারভাইজার।
বিআইডব্লিটিএ চাঁদপুর নদী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা এম কায়সারুল ইসলাম জানান, সকাল থেকেই যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। তারা লঞ্চে ওঠার জন্যে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। সিডিউল অনুযায়ী সব লঞ্চ চাঁদপুর ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ রওনা হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
অপরদিকে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাস্টার সোয়াইবুল সিকদার জানান, ভোর পাঁচটায় মেঘনা ও দুপুর আড়াইটায় সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টি যাত্রী নিয়ে যথাসময়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে, কোনো সমস্যা হয়নি।
অপরদিকে চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড গিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর থেকে বোগদাদ পরিবহনের বাস ১৫ মিনিট পরপর কুমিল্লার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
হিলশা পরিবহনের ইছহাক ড্রাইভার জানান, তাদের পরিবহনের ৮ থেকে ১০টি গাড়ি চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এছাড়া ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম রুটের সৌদিয়া, বিআরটিসি বাস এবং লক্ষ্মীপুর রুটের আনন্দ পরিবহনের বাস প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী ছেড়ে গেছে। সকালে যাত্রীর চাপ বেশি থাকলেও দুপুরের পর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসে তেমন যাত্রী ছিল না।
ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে শহরে মানুষ ও যানবহনের চাপ বাড়ছে।