মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

ফোন পেলেই অক্সিজেন নিয়ে ছুটছে ‘আলোর মশাল’
মোহাম্মদ মহিউদ্দীন ॥

দিন যতো যাচ্ছে কচুয়ায় করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যাও বাড়ছে। সঙ্কট তৈরি হচ্ছে অক্সিজেনের। এমতাবস্থায় করোনা কিংবা উপসর্গ নিয়ে রোগীর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, মোবাইল ফোনে এমন সংবাদ পেলেই অক্সিজেন নিয়ে ছুটে যান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোর মশাল’ সামাজিক যুব সংগঠনের সদস্যরা। নিজেরা করোনা আক্রান্ত হবেন কি না সেদিকে খেয়াল নেই তাদের। সময়ের প্রয়োজনে সকল বাধা উপেক্ষা করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই যেনো তাদের নেশা হয়ে দাঁডিয়েছে। ‘আগে রোগীকে অক্সিজেন সেবা প্রদান করতে হবে’ তাদের মধ্যে এ মনোভাব কাজ করে সর্বদা কাজ করছে।

আলোর মশাল সামাজিক যুব সংগঠনের সভাপতি ওমর ফারুক সাইম মৃধা চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, চাঁদপুর জেলায় আমরাই প্রথম অক্সিজেন বেসরকারিভাবে সেবা প্রদান কার্যক্রম শুরু করি। আমাদের টিমে যারা কাজ করছেন তারা অধিকাংশ ছাত্র। ২৪ ঘণ্টা ১২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। গত বছর থেকে এ পর্যন্ত ৭৬ জনকে আমরা অক্সিজেন সেবা প্রদান করি। যে কেউ ফোন করলেই আমরা তাদের বাড়ি পৌঁছে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে রোগীর অক্সিজেন লেভেল পরিমাপ করে অক্সিজেনের প্রয়োজন বোধ করলেই বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান করছি। এর পাশাপাশি দরিদ্র, অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী এমনকি করোনা রোগীদের প্রয়োজনীয় মেডিসিন ও খাদ্যসামগ্রী তাদের বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছি।

সংগঠনের সহণ্ডসভাপতি মেহেদী হাসান চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, আমাদের ‘হ্যালো মোবাইল’ নামে একটি কার্যক্রম রয়েছে। যা থেকে আমরা করোনা এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে বাসায় চিকিৎসা নেয়া রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজে পরিবার থেকে বাধা আসছে। সকল বাধা উপক্ষো করে আমরা সেবা দিয়ে আসছি।

তারা আরও বলেন, দিন দিন করোনা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। ফলে এখন প্রচুর অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে। যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমাদের অক্সিজেন সিলিন্ডার উপহার দেন তাহলে আমরা সেসব সিলিন্ডার দিয়ে বিনামূল্যে সেবা দিতে পারবো। কচুয়ার কোনো করোনা রোগী যাতে অক্সিজেনের অভাবে মারা না যায় এ প্রত্যয় নিয়ে আমাদের অক্সিজেন সেবা কার্যক্রম।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সোহেল রানা চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, এই ক্রান্তিকালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোর মশাল’ যে সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। তবে করোনা রোগীদের অক্সিজেন দিতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া সকল স্বেচ্ছাসেবী পিপিই ও মাস্ক পরে সুরক্ষা নিয়ে করোনা রোগীদের সেবা দিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়